যেহেতু স্মার্টফোনের জগতে এখন রাজত্ব করছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। তাই এখানে আমরা শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনের রিকভার প্রসেস নিয়ে কথা বলবো। বিস্তারিত পড়ে জেনে নিন, কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন আপনার ফোন থেকে ডিলেট হওয়া ফাইল, ফটো বা ভিডিও! প্রায়ই আমরা ভুলবশত মোবাইল থেকে বিভিন্ন ছবি ডিলেট করে ফেলি।
অনেক সময় ভুল করে মেমোরি কার্ড ফরম্যাট করে ফেলি। এতে করে স্মার্টফোন থেকে হারিয়ে যাও অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস সহ প্রয়োজনীয় অনেক অনেক ছবি। স্মার্টফোনে স্টোর থাকা বহু কিছুর ভিড়ে আমরা বুঝতে পারি না যে আসলে কোন ফোল্ডারটা কাজের আর কোনটা অকাজের। অনেক সময়ে দেখা যায় কাজের জিনিসগুলোই ডিলেট হয়ে গিয়েছে। ফাইল রিকভার করার নিয়মটি অন্যদেরকে জানানোর জন্য অবশ্যই শেয়ার করুন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ছবি এবং ভিডিওগুলো কোথায় স্টোর করছেন তা আগে জেনে নিন। যদি, ছবি বা ভিডিওগুলি মেমরিকার্ডে স্টোর থাকে, তা হলে অসুবিধা নেই। এখান থেকে ছবি ডিলিট হয়ে গেলে অনলাইন থেকে একাধিক ‘রিকভার সফটওয়্যার’-এর সাহায্য নিতে পারেন। এরমধ্যে যেমন আছে ‘রেকুভা’ নামে একটি রিকভারিং সফটওয়্যার।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারন্যাল মেমরি বা ফোন মেমরি থেকে ছবি অথবা ভিডিও ডিলিট হলে চিন্তার বিষয়। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা হলেও আশা জোগাতে পারে ‘ডিস্ক ডিগার অ্যাপ’। তবে এই অ্যাপ ব্যবহার করার আগে সতর্কীকরণটা মাথায় রাখুন। কারণ, ‘ডিস্ক ডিগার অ্যাপ’ রুটেড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস-এর ক্ষেত্রেই কাজ করবে। কী করে অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে রুট করতে হবে, তার জন্য অনলাইনে একাধিক টিউটোরিয়াল রয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে যখন কোন ফাইল ডিলিট হয়, তখন সিস্টেমে শুধু তথ্যগুলো মুছে যায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই ফাইল স্পেসে অন্যকিছু ওভাররাইট হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করার সম্ভাবনা থাকে। তাই, ডিলিট হওয়া ফাইল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কোনও ধরনের সিস্টেম আপডেশন বা ফোন মেমরিতে ছবি সেভ, ডকুমেন্ট ফাইল সেভ করবেন না।
আরো পড়ুন~
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের মৃত্যুর পর মিডিয়া শাওনকে প্রশ্ন করেছিল আপনি কি জীবনে আর কাউকে চাইবেন? শাওন বলেছিল, আমি সারাটা জীবন লেখকের স্ত্রীর পরিচয়টা নিয়ে থাকতে চাই। আর কিচ্ছু না! অনেকটা জীবনের শেষপ্রান্তে এসে হুমায়ূন শাওনকে প্রকাশ করেছিল তার মনের সুপ্ত বাসনা। প্রপোজ করেছিল এই বলে ‘গুহাচিত্র যারা আঁকতেন, তাদেরও কাউকে লাগত ওই অন্ধকারে প্রদীপটা ধরে রাখার জন্য। যাতে সেই চিত্রকর নিজের কাজটা করতে পারেন। তুমি কি আমার জন্য সেই আলোটা ধরবে?’ শাওন ধরেছিল সেই মশাল। সেই আলো। ছাড়েনি কোনদিন।
গতবছর সমরেশ মজুমদার এসেছিলেন বাতিঘরে। এক যুবতী বলেছিল ‘সমরেশ আমি আপনাকে ভালবাসি!’ লেখক বুঝেছিলেন তাকে নয়, তার কলমকে ভালবাসে। হয়তো যুবতী তার সাতকাহন উপন্যাসে মজেছিল। কোন এক বইয়ে পড়েছিলাম পৃথিবীর তাবৎ উপন্যাস হতে যদি প্রেম,বিরহ,অনল, অপেক্ষা, বলতে না পারার যাতনা ছুড়ে ফেলা হয়, তাহলে এসব উপন্যাস কালের কৃষ্ণ গহবরে হারাবে। কেউ উল্টিয়ে দেখবেনা এসব উপন্যাস। কেননা পৃথিবীর কোথাওনা কোথাও কেউ কারো জন্য অপেক্ষা করছে, প্রহর গুনছে, অশ্রুমালায় কারো স্মৃতি মনস্থ করছে। তাইতো পৃথিবী এত সুন্দর!
রবি ঠাকুর জীবনের প্রায় কাব্য লিখতেন কাদম্বরী দেবীকে উদ্দেশ্য করে। কাদম্বরী দেবী ভালবাসতেন রবিকে, রবির লিখাকে। তবে তা তেমন প্রকাশ করেনি। বুঝতে দেয়নি। কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর ১২৭বছর পর প্রকাশিত চিরকুট বলেছিল কাদম্বরী দেবীর সুইসাইডের অন্যতম কারণ ছিল রবি ঠাকুরের প্রেম হতে বঞ্চিত হওয়া। কাদম্বরী দেবী তার সুইসাইড নোটের সর্বশেষ লাইনটা লিখেছিল ঠিক এইভাবে ‘ রবি আজো তোমাকে ভালবাসি। এইটুকু বিশ্বাস করো! রবি জীবনে অনেক বড় হয়েছিলেন। পেয়েছিলেন পৃথিবীর সব নামীদামী পুরস্কার। তবুও মন থেকে ভুলতে পারেনি কাদম্বরী দেবীকে। ‘শৈশব সঙ্গীত’ গ্রন্থের উৎসর্গ পত্রে রবি লিখেছিলেন ‘এ কবিতাগুলিও তোমাকে দিলাম।তুমি যেখানে থাকোনা কেন, এ লেখাগুলি তোমার চোখে পড়িবেই!’
পৃথিবীর সব মানুষ যেখানে সাদাকালোতে মজে, সেখানে কবিরা ভিন্ন কিছুতে মজে। হতে পারে কালো বালিকার মায়া হরিণী চোখ, সামনে ঝুলে থাকা কটা চুল, নতুবা আলতা পরা দুটো পা! রবি ঠাকুরের স্ত্রীর মৃত্যুর পর রবিকে জাপানি এক লেখিকা মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন। কিন্তু পায়নি। কিন্তু কাদম্বরী ছিল রবির সারাটা জীবন কাব্য প্রতিভার দেবী। অথচ কাদম্বরী দেবী ছিল কালো। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ উপন্যাসে কবি ছুটেছিল কুচকুচে কালো নায়িকা বসনের পেছনে। বসন মারা যাওয়ার পর কবি আর কাউকে ছুঁইনি। বুদ্ধদেব গুহ তার ‘সবিনয় নিবেদন’ উপন্যাসে তার কল্পনার প্রিয়তমাকে মাথা ঠেকিয়ে বলেছিল আমি আমার কল্পনা দেবীকে প্রণাম করছি। তখন জানালার ফুটো দিয়ে সূর্যোদয়ের চিহ্ন প্রবেশ করছিল। কিছু মানুষ আছে যারা প্রপোজের বিপরীতে বলে, তুমি আমাকে নয়, ভাল কাউকে ডিজার্ভ করো। আমার চেয়েও ভাল কেউ অপেক্ষা করছে।
পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে বড্ড পাগলাটে। মনের কোণে যাকে লালন করে, তাকে গ্রহের তাবৎ কল্পনা দিয়ে আঁকে। অংকন করে। কড়া রোদে বৃষ্টি নামায়। আমবস্যায় আলো। কালো কে ধলো বলে। মানুষের অনুভূতি কেমন যেন!
0 comments: