ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা না ভেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পে ব্যয় করা হয় ১২০ কোটি টাকা। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে মাদারীপুর বা শরীয়তপুর বাদ দিয়ে ঢাকার আশপাশে জমি খোঁজার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফলে জলে গেছে সরকারের ১২০ কোটি টাকা! মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, খাস জমির সংকট ও হাজার হাজার মানুষ ও তাদের বাড়িঘর উচ্ছেদকে বাধা বিবেচনা করে ঢাকার আশপাশে জমি খোঁজার নির্দেশ দেয়া হয়। এর ফলে কোন কাজেই আসল না সরকারের ১২০ কোটি টাকা!
বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েইকে নতুন জমি নির্বাচন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিপ্পন এবার ঢাকার আশপাশে এ প্রকল্পের জন্য জমি নির্বাচন করবে।
ঢাকার পাশে আগে যেসব স্থান খোঁজা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এবং নতুন স্থান নির্বাচন করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ শিগগিরই বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। চলতি সপ্তাহে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।
বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, এ ধরনের বিমানবন্দর নির্মাণে অনেক দিক বিবেচনায় রাখতে হয়। সার্বিক বিবেচনায় মাদারীপুর বা শরীয়তপুরের বদলে ঢাকার আশপাশে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্যে জমি খোঁজা হচ্ছে। তবে প্রকল্পে ব্যয় হওয়া পুরো অর্থ জলে যাবে না। এ খাতে ব্যয় কিছুটা বাড়তেও পারে।
মহিবুল হক বলেন, খাস জমির সংকট ও ঘনবসতিতে হাজার হাজার মানুষ ও তাদের বাড়িঘর উচ্ছেদকে বাধা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিপ্পন কোয়েই লিমিটেড ২০১৫ সালের জুলাই থেকে জাজিরা ও শিবচরে প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে। আগামী জুনের মধ্যে ১৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সব কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগেই সম্প্রতি জাপানি এই প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন জমা দেয়। এ পর্যন্ত প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।যা কোনো কাজেই লাগল না। এরইমধ্যে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিপ্পন কোয়েইকে নতুন জায়গা বের করতে বলেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে এ প্রকল্প ব্যয়ের ভার বহন করতে হবে সরকারকে।
0 comments: