Tuesday, April 9, 2019

বয়ফ্রেন্ড বাদ দিয়ে বিসিএস ক্যাডারকে বিয়ে!


সাইফ আহমেদ : মন দেয়া নেয়ার শুরুটা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং চলাকালে। সুমি আর আমি একই কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। পড়াশোনায় প্রতিযোগিতা থাকলেও পরীক্ষার সময় সহযোগিতমূলক আচরণ ছিল আমাদের মাঝে। শিট ফটোকপি করে দেয়া, বই কেনার সময় একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, ফোনে পড়াশোনার খবর নেয়া এভাবেই কাছে আশা শুরু।

বই কেনার প্রয়োজনে প্রায়ই নীলক্ষেতে যেতে হত। আমরা শাহবাগ থেকে রিকশায় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়ে নীলক্ষেতে যেতাম। ফেরার পথে টিএসসিতে সময় কাটাতাম মাঝে মাঝে। ফুচকা খেতে খেতে পড়াশোনার বাইরে ভালো লাগার বিভিন্ন অনুষঙ্গ নিয়ে কথা হতো দুজনার। রিকশায় পথ চলতে চলতে সেসময়ের খুনসুঁটি এখনও আমাকে নষ্টালজিয়ায় ফেলে দেয়। এভাবেই চলছিল বেশ।

একসময় অনুভব করলাম সুমির প্রতি আমার বন্ধুত্বের বাইরেও আরেকটি বিষয় কাজ করছে। সেটি হল মিসিং। ওকে বিদায় জানানোর পর বাসায় ফেরার আগ পর্যন্ত তাকে নিয়েই চিন্তা হত। অনেকসময় বাসায় ফিরেও তার ঘোর কাটতো না। সেসময় জানা ছিল না এরই নাম ভালোবাসা...

ভর্তি পরীক্ষায় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছি। কিন্তু সুমির চান্স হয়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হয়েছে তার। আমিও সেখানে চান্স পেয়েছিলাম। প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সুমির বাধার কারণে সেখানে ভর্তি হতে পারিনি। রাবিতে ভর্তি হতে না পেরে সেদিন কেন জানি প্রচণ্ড মন খারাপ হয়েছিল। বিষয়টা বুঝতে পেরেছিল সুমি। রাতে মোবাইলে শান্তনার বাণী শোনানোর পর একটি এসএমএস আমার সবকিছু পাল্টে দেয়।

‘আনেক মিস করছি তোমায়, তবে এই মিসিংটা সারাজীবন আমি বয়ে বেড়াতে পারবোনা।’

পরক্ষণেই মনে হল আমি ভুল করে ফেলেছি। বাধা না মেনে আমাকে রাবিতেই ভর্তি হওয়া উচিত ছিল। কাছাকাছি থাকলে তার ওই কষ্ট বয়ে বেড়াতে হত না। বুঝতে পারলাম সুমি আমাকে ভালোবাসে। এরই মাঝে ঢাবিতে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। তবে রাবিতে ক্লাস শুরু না হওয়ায় সুমির সময় কাটছে বাড়িতে। ভালোবাসার কথাটা বলা হচ্ছে না তাকে। বাড়িতে থাকায় ফোনেও তেমন একটা কথা বলতে পারছি না। শুধুমাত্র এসএমএস চ্যাটিং হতো দুজানার মাঝে। চ্যাটিংয়েই প্রকাশ পায় সুমি আমাকে কতটা ভালোবাসে।

এভাবে চলল দুই মাস। আমার কাছে যেন মনে হল আমি দুই বছর পার করে ফেলেছি। রাবিতে নবীনবরণের দিনে আমি আর সুযোগটা মিস করতে চাইনি। তাকে চমকে দিয়ে রাবি ক্যাম্পাসে হাজির আমি। ওরিয়েন্টেশন নিয়ে বের হওয়ার পথে ওর সঙ্গে দেখা। ওর হাতে রজনীগন্ধা আর আমার হাতে লাল গোলাপ। সুমির সঙ্গে তার এক বান্ধবী আর আমার সঙ্গে রুয়েটের এক বন্ধু।

আমাকে দেখে সুমি যেন তাজ্জব বনে গেল। কিছুক্ষণ কোন কথা হল না। দুষ্টু ছেলে এভাবে কেউ সরপ্রাইজ দেয়! এমন প্রশ্নের কোন উত্তর নেই আমার কাছে। দু'চোখের কোণে দুই ফোটা জল গড়িয়ে পড়ার আগেই জানালাম তোমাকে মিসিংয়ের কষ্ট বয়ে বেড়াতে দিতে চাই না। কেয়ারিং-শেয়ারিংয়ে জড়াতে চাই। ভালোবাসা শব্দটা উচ্চারিত হয়নি কারো মুখে তবে ওর চোখের ভাষাই বলে দিল কতটা ভালোবাসা রয়েছে ওর মাঝে।

রাজশাহীতে আমি দুইদিন ছিলাম। বন্ধুর মেসে থেকে দুইদিন দুপুরের পর পুরোটা সময় কেটেছে সুমির সঙ্গে। ওই সময়টা কেটে গেছে খুব দ্রুত। বিদায়ের সময় হয়েছে। রেলস্টেশনে সুমি আমাকে বিদায় জানাতে এসেছে। এবার কিন্তু ওর হাতে রজনীগন্ধা নেই। হাতে লাল গোলাপ, মুখে হাসি। বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার সেই হাসি মলিন হতে লাগলো। ট্রেন ছেড়ে দেয়ার সময় যেন মনে হল ওর চোখের কোণে ভালোবাসার জল খেলা করছে। একটু অভয় দিলেই গড়িয়ে পড়বে। ট্রেনের কামড়ায় সময় কেটেছে এসএমএস চ্যাটিংয়ে।

ও আচ্ছা সুমির একটু বর্ণনা দিয়ে নেই। ওর বাড়ি খুলনায়। বাবা সরকারি চাকরি করেন। মা-বাবার আদরের সন্তান। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের ওই মেয়েটি জেদী হলেও ভীষণ সুন্দরী। কোচিংয়ে থাকাকালেও তাকে দুইজন প্রেমের অফার করে। তবে সুমির প্রেম-টেমের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই। পড়াশোনা নিয়েই তার সময় কাটে। স্বপ্ন একজন ভালো মানের প্রকৌশলী হয়ে উঠার। তবে রাবিতে ভর্তি হতে হয়েছে পদার্থ বিজ্ঞানে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর দুই বছর আমাদের প্রেম চলেছে পুরোদমে। ওর সঙ্গে এসএমএস আর ফেইসবুক চ্যাটিংই বেশি হত। ফোনে কথা বলা হত কেবল রাত ১২ টার পর। এভাবেই চলছিল। হঠাৎ আমাদের ভালোবাসায় ছন্দপতন হল। কেন জানি সুমিকে অপরিচিত মনে হতে লাগলো। আগের মত চ্যাটিং আর জমে ওঠে না। রাত ১২ টার পর বেশিরভাগ সময়ই সে ঘুমের রজ্যে চলে যায়। যদিও সেটা ছিল তার বাহানা জানতে পারলাম পরে। এরই মাঝে আমি ব্যস্ত হয়ে পড়লাম পড়াশোনা নিয়ে। ক্লাস, ল্যাব, টিউশনি নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত আমি। সময় করে রাজশাহী গেলাম। প্রথমদিন ওর ব্যস্ততার কারণে দেখা হয়নি। দ্বিতীয় দিনে বিকেলে দেখা হয়েছে ক্যাম্পাসে। সুমিকে দেখে কেন জানি অচেনা মনে হতে লাগলো।
সেদিন কথা কম হয়েছে। বেশিরভাগ সময় কেটেছে চুপ করে থেকে। কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না, আমি কী কোন ভুল করেছি। বহু চিন্তা করেও নিজের কোন ভুল পেলাম না। বিদায় বেলায় ব্যস্ততা দেখিয়ে সুমি আর রেলস্টেশনে এলো না। মেনে নিলাম। ট্রেনে ওঠার পর থেকেই তার ফোন বন্ধ পেলাম। টেনশনে দুই ষ্টেশন পরেই আমি নেমে গেলাম। আবার রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।

রাবি ক্যাম্পাসে গিয়ে তার বিভাগে খবর নিয়ে জানলাম ও হলে চলে গেছে। হলে গিয়েও তার কোন বান্ধবীর দেখা পেলাম না। সন্ধ্যা পর্যন্ত আশেপাশেই ছিলাম। সন্ধ্যার পর দেখা হল সুমির এক বান্ধবীর সঙ্গে। জানতে পারলাম ও আজ হলে ফিরবে না। তার আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছে সুমি। ফোন বন্ধ থাকায় কোন যোগাযোগ হল না।

পরদিন ক্যাম্পাসে সকাল থেকে অপেক্ষা করছি সুমির জন্য। ওর ক্লাস কখন তাও জানি না। বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানলাম ওদের ক্লাস দুপুরে। অপেক্ষায় রইলাম, সুমির দেখা পেলাম না। কেন এমন হচ্ছে। সুমির ফোন বন্ধ। টেনশন হচ্ছে প্রচণ্ড।

দুইদিন অপেক্ষার পর দেখা পেলাম সুমির। একাডেমিক ভবনের সামনে আমাকে দেখে আঁতকে উঠলো সুমি। সারপ্রাইজ নয় এবার যেন তার চোখেমুখে খেলা করছে ভয় আর নিজেকে লুকিয়ে রাখার প্রবণতা।

কি হয়েছে তোমার? পরে কথা বলবো, ক্লাস আছে বলেই চলে গেল সুমি। কিছুই বলতে পারলাম না। ক্লাস শেষে দেখা হল। মোবাইল নম্বর চেইঞ্জ করেছে সুমি। আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে হয়নি তার। জানালো একটি ছেলে খুব ডিস্টার্ব করছে তাই মোবাইল চেইঞ্জ করেছে সে। তার ফোন নম্বর নিয়ে আবার ঢাকায় চলে এলাম।

প্রথম প্রথম দুই তিনবার ফোন দিলে ওপাশ থেকে মোবাইল ধরেই ব্যস্ততার কথা বলে রেখে দিত সুমি। সংখ্যাটা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকলো। ৫ বার ফোন দিলে হয়তো একবার ধরতো। মাঝে মাঝেই দীর্ঘ সময়ের জন্য ওয়েটিং পাওয়া যেত কল। ফোন করলেই উত্তর মিলতো না অনেক প্রশ্নের। এভাবেই চলে গেল আরও ৬ মাস।

হঠাৎ একদিন ওর বান্ধবীর ফোন থেকে একটি কল আমার জীবনটাকে উলটপালট করে দিল। জানাল সুমি বিয়ে করেছে। ওর স্বামী বিসিএস ক্যাডার। পরিবারের কথায় নাকি নিজের ইচ্ছায় এমন বিয়ে হয়েছে সেটা জানা হল না। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। ওই খবরটা শোনার পর থেকে আমার রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল। তবে এখন আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছি। নিজেকে সামলে ক্যারিয়ারের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না।

সুমিকে বলছি, তোমার প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। অক্ষেপ আছে। বিসিএস ক্যাডার এত প্রয়োজন ছিল আর কটা বছর অপেক্ষা করতে পারলে না। তোমার জন্য তো আমি সবই পারি। বিসিএস ক্যাডার হতে পারব না...!!!
 সুস্থ থাকতে জেনে নিন নবীজির আহার-পদ্ধতি


খাদ্য মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। জীবন ধারণের জন্যই মানুষকে খেতে হয়। তবে সীমা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত খেলে ঐ খাবার শরীরের জন্য উপকারী না হয়ে বরং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

মানুষ হিসেবে আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এরও খাবার গ্রহণের প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠতম মানুষ ও সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন,

لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

“তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মাঝে রয়েছে উত্তম দৃষ্টান্ত।” –সূরা আহযাব, আয়াত : ২১ অতএব, মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবনে কাউকে অনুকরণ করতে হলে নবীজিই হলেন সেই মানুষ। তিনি একটি সফল সুন্দর জীবনের আর সবকিছুর মত খাবার গ্রহণের সুন্দরতম পদ্ধতিটিও আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন। এর অনুসরণের মাঝেই রয়েছে আমাদের জন্য সুস্থতা ও কল্যাণ।

এখানে রাসূল (সা.) কীভাবে খাবার গ্রহণ করতেন, এর কিছু পদ্ধতি সংক্ষেপে আলোচনা করা হল। ১. প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খাওয়া . রাসূল (সা.) খাবার গ্রহণের জন্য পেটকে তিনভাগে ভাগ করার উপদেশ দিয়েছেন। প্রথম একভাগ খাবার, দ্বিতীয় একভাগ পানি ও তৃতীয় একভাগ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য তিনি খালি রাখতে বলেছেন।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে এবং বিভিন্ন প্রকার রোগের সৃষ্টি করে।

২. সকল প্রকার খাদ্যগ্রহণ

রাসূল (সা.) আমিষ ও উদ্ভিদজাত উভয় প্রকার খাবারই গ্রহণ করতেন। তিনি কখনোই শুধু আমিষ বা শুধু উদ্ভিদজাত খাদ্য খেতেন না। শরীরের সুস্থতার জন্য আমাদের উভয় প্রকার খাদ্যেরই প্রয়োজন আছে। কোন এক প্রকার খাবার অধিক গ্রহণ করে অন্যটি সম্পূর্ণ বর্জন শরীরের জন্য কোনক্রমেই উপকারী নয়।

৩. প্লেট পরিষ্কার করে খাওয়া

প্লেটে পরিবেশিত খাদ্যের শেষ কণাটি পর্যন্ত মুছে খেয়ে নেওয়া রাসূল (সা.) এর সুন্নাহ। রাসূল (সা.) তার সামনে পরিবেশিত আহারের শেষ কণাটি পর্যন্ত মুছে আহার করতেন।বর্তমানে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের মূল পুষ্টিগত নির্যাস পাত্রের তলায় এসে জমা হয়।

পাশাপাশি খাবার পর আঙ্গুল চেটে নেওয়াও সুন্নাহর অংশ। খাবার শেষে আঙ্গুল চেটে নেওয়ার মাধ্যমে হজম ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পাচক রসের অধিক নিঃসরণ ঘটে।

৪. হাত দিয়ে খাওয়া

কোন প্রকার চামচ ব্যবহার না করে সরাসরি হাত ব্যবহার করে খাওয়া রাসূল (সা.) এর সুন্নাহ। এভাবে মাধ্যমে খাবারের সাথে সংযোগ স্থাপিত হয়। ফলে যত্নের সাথে পরিষ্কার করে খাবার খাওয়া সম্ভব হয় এবং তা সহজেই হজম হয়। অন্যদিকে, চামচ দিয়ে খেলে খাবারের সাথে কোন প্রকার সংযোগ ঘটে না। ফলে অনেকাংশে অবহেলায় অপরিচ্ছন্নভাবে খাবার গ্রহণ করা হয়। মনোসংযোগ ছাড়া অবহেলায় খাবার গ্রহণের কারণে এই খাবার হজমের জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়।

৫. আল্লাহর নাম নিয়ে খাবার গ্রহণ করা

খাবার গ্রহণের পূর্বে রাসূল (সা.) আমাদের আল্লাহর নাম নিতে তথা ‘বিসমিল্লাহ’ বলে খাওয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই পৃথিবীতে আমাদের খাবারের জন্য যা কিছু রয়েছে, তার সকল কিছুই আল্লাহর নেয়ামত। সুতরাং, ‘বিসমিল্লাহ’ বলার মাধ্যমে আমরা যেমন আমাদের সামনে পরিবেশিত খাবারের জন্য আল্লাহর শোকর আদায় করি, যার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের উপর সন্তুষ্ট হন, ঠিক তেমনি আমাদের খাবারে আল্লাহ বরকত দেন, যা আমাদের জন্য কল্যাণকর হয়।

খাবার গ্রহণের সময় রাসূল (সা.) প্রদর্শিত এই পদ্ধতিগুলো মনে রেখে বাস্তবায়ন করলে আমাদের খাবার আমাদের জন্য বেশি উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ।

Monday, April 8, 2019

ফোন থেকে ডিলেট হওয়া যেকোনো কিছু রিকভার করুন !


যেহেতু স্মার্টফোনের জগতে এখন রাজত্ব করছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। তাই এখানে আমরা শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনের রিকভার প্রসেস নিয়ে কথা বলবো। বিস্তারিত পড়ে জেনে নিন, কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন আপনার ফোন থেকে ডিলেট হওয়া ফাইল, ফটো বা ভিডিও! প্রায়ই আমরা ভুলবশত মোবাইল থেকে বিভিন্ন ছবি ডিলেট করে ফেলি।

অনেক সময় ভুল করে মেমোরি কার্ড ফরম্যাট করে ফেলি। এতে করে স্মার্টফোন থেকে হারিয়ে যাও অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস সহ প্রয়োজনীয় অনেক অনেক ছবি। স্মার্টফোনে স্টোর থাকা বহু কিছুর ভিড়ে আমরা বুঝতে পারি না যে আসলে কোন ফোল্ডারটা কাজের আর কোনটা অকাজের। অনেক সময়ে দেখা যায় কাজের জিনিসগুলোই ডিলেট হয়ে গিয়েছে। ফাইল রিকভার করার নিয়মটি অন্যদেরকে জানানোর জন্য অবশ্যই শেয়ার করুন।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ছবি এবং ভিডিওগুলো কোথায় স্টোর করছেন তা আগে জেনে নিন। যদি, ছবি বা ভিডিওগুলি মেমরিকার্ডে স্টোর থাকে, তা হলে অসুবিধা নেই। এখান থেকে ছবি ডিলিট হয়ে গেলে অনলাইন থেকে একাধিক ‘রিকভার সফটওয়্যার’-এর সাহায্য নিতে পারেন। এরমধ্যে যেমন আছে ‘রেকুভা’ নামে একটি রিকভারিং সফটওয়্যার।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারন্যাল মেমরি বা ফোন মেমরি থেকে ছবি অথবা ভিডিও ডিলিট হলে চিন্তার বিষয়। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা হলেও আশা জোগাতে পারে ‘ডিস্ক ডিগার অ্যাপ’। তবে এই অ্যাপ ব্যবহার করার আগে সতর্কীকরণটা মাথায় রাখুন। কারণ, ‘ডিস্ক ডিগার অ্যাপ’ রুটেড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস-এর ক্ষেত্রেই কাজ করবে। কী করে অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে রুট করতে হবে, তার জন্য অনলাইনে একাধিক টিউটোরিয়াল রয়েছে।

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে যখন কোন ফাইল ডিলিট হয়, তখন সিস্টেমে শুধু তথ্যগুলো মুছে যায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই ফাইল স্পেসে অন্যকিছু ওভাররাইট হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করার সম্ভাবনা থাকে। তাই, ডিলিট হওয়া ফাইল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কোনও ধরনের সিস্টেম আপডেশন বা ফোন মেমরিতে ছবি সেভ, ডকুমেন্ট ফাইল সেভ করবেন না।

আরো পড়ুন~
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের মৃত্যুর পর মিডিয়া শাওনকে প্রশ্ন করেছিল আপনি কি জীবনে আর কাউকে চাইবেন? শাওন বলেছিল, আমি সারাটা জীবন লেখকের স্ত্রীর পরিচয়টা নিয়ে থাকতে চাই। আর কিচ্ছু না! অনেকটা জীবনের শেষপ্রান্তে এসে হুমায়ূন শাওনকে প্রকাশ করেছিল তার মনের সুপ্ত বাসনা। প্রপোজ করেছিল এই বলে ‘গুহাচিত্র যারা আঁকতেন, তাদেরও কাউকে লাগত ওই অন্ধকারে প্রদীপটা ধরে রাখার জন্য। যাতে সেই চিত্রকর নিজের কাজটা করতে পারেন। তুমি কি আমার জন্য সেই আলোটা ধরবে?’ শাওন ধরেছিল সেই মশাল। সেই আলো। ছাড়েনি কোনদিন।

গতবছর সমরেশ মজুমদার এসেছিলেন বাতিঘরে। এক যুবতী বলেছিল ‘সমরেশ আমি আপনাকে ভালবাসি!’ লেখক বুঝেছিলেন তাকে নয়, তার কলমকে ভালবাসে। হয়তো যুবতী তার সাতকাহন উপন্যাসে মজেছিল। কোন এক বইয়ে পড়েছিলাম পৃথিবীর তাবৎ উপন্যাস হতে যদি প্রেম,বিরহ,অনল, অপেক্ষা, বলতে না পারার যাতনা ছুড়ে ফেলা হয়, তাহলে এসব উপন্যাস কালের কৃষ্ণ গহবরে হারাবে। কেউ উল্টিয়ে দেখবেনা এসব উপন্যাস। কেননা পৃথিবীর কোথাওনা কোথাও কেউ কারো জন্য অপেক্ষা করছে, প্রহর গুনছে, অশ্রুমালায় কারো স্মৃতি মনস্থ করছে। তাইতো পৃথিবী এত সুন্দর!

রবি ঠাকুর জীবনের প্রায় কাব্য লিখতেন কাদম্বরী দেবীকে উদ্দেশ্য করে। কাদম্বরী দেবী ভালবাসতেন রবিকে, রবির লিখাকে। তবে তা তেমন প্রকাশ করেনি। বুঝতে দেয়নি। কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর ১২৭বছর পর প্রকাশিত চিরকুট বলেছিল কাদম্বরী দেবীর সুইসাইডের অন্যতম কারণ ছিল রবি ঠাকুরের প্রেম হতে বঞ্চিত হওয়া। কাদম্বরী দেবী তার সুইসাইড নোটের সর্বশেষ লাইনটা লিখেছিল ঠিক এইভাবে ‘ রবি আজো তোমাকে ভালবাসি। এইটুকু বিশ্বাস করো! রবি জীবনে অনেক বড় হয়েছিলেন। পেয়েছিলেন পৃথিবীর সব নামীদামী পুরস্কার। তবুও মন থেকে ভুলতে পারেনি কাদম্বরী দেবীকে। ‘শৈশব সঙ্গীত’ গ্রন্থের উৎসর্গ পত্রে রবি লিখেছিলেন ‘এ কবিতাগুলিও তোমাকে দিলাম।তুমি যেখানে থাকোনা কেন, এ লেখাগুলি তোমার চোখে পড়িবেই!’

পৃথিবীর সব মানুষ যেখানে সাদাকালোতে মজে, সেখানে কবিরা ভিন্ন কিছুতে মজে। হতে পারে কালো বালিকার মায়া হরিণী চোখ, সামনে ঝুলে থাকা কটা চুল, নতুবা আলতা পরা দুটো পা! রবি ঠাকুরের স্ত্রীর মৃত্যুর পর রবিকে জাপানি এক লেখিকা মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন। কিন্তু পায়নি। কিন্তু কাদম্বরী ছিল রবির সারাটা জীবন কাব্য প্রতিভার দেবী। অথচ কাদম্বরী দেবী ছিল কালো। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ উপন্যাসে কবি ছুটেছিল কুচকুচে কালো নায়িকা বসনের পেছনে। বসন মারা যাওয়ার পর কবি আর কাউকে ছুঁইনি। বুদ্ধদেব গুহ তার ‘সবিনয় নিবেদন’ উপন্যাসে তার কল্পনার প্রিয়তমাকে মাথা ঠেকিয়ে বলেছিল আমি আমার কল্পনা দেবীকে প্রণাম করছি। তখন জানালার ফুটো দিয়ে সূর্যোদয়ের চিহ্ন প্রবেশ করছিল। কিছু মানুষ আছে যারা প্রপোজের বিপরীতে বলে, তুমি আমাকে নয়, ভাল কাউকে ডিজার্ভ করো। আমার চেয়েও ভাল কেউ অপেক্ষা করছে।

পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে বড্ড পাগলাটে। মনের কোণে যাকে লালন করে, তাকে গ্রহের তাবৎ কল্পনা দিয়ে আঁকে। অংকন করে। কড়া রোদে বৃষ্টি নামায়। আমবস্যায় আলো। কালো কে ধলো বলে। মানুষের অনুভূতি কেমন যেন!
এক জাতীয় পরিচয়পত্রে ৪২ হাজার সিম!


আইনে বিধান রয়েছে, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল ফোনের সিমকার্ড নিবন্ধন করা যাবে। তবে কোনো কোনো এনআইডির বিপরীতে বেশি সিমকার্ড আছে সেটা খুঁজতে গিয়ে এক বিস্ময়কর তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

একটি এনআইডি নম্বর দিয়ে ৪২ হাজার সিম নিবন্ধন করা হয়েছে! কি কারণে ওই গ্রাহক এটা করেছেন সে ব্যাপারে গোয়েন্দাদের খোঁজ নিতে বলেছে বিটিআরসি। যদিও নিরাপত্তার স্বার্থে সেই গ্রাহকের পরিচয় প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, একটি এনআইডির বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম আছে বর্তমানে ২৬ লাখ ৩০ হাজার। গত ৩ এপ্রিল সবগুলো মোবাইল ফোন অপারেটরকে চিঠি দিয়ে সর্বশেষ কেনা ১৫টি নম্বর রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি।

তার আগে যাদের নামে বেশি সিম আছে তাদের কাছে মেসেজ পাঠিয়ে কোন ১৫টি নম্বর রাখতে চান সেটা জানাতে অনুরোধ করতে হবে। তবে ২৬ এপ্রিলের পর কোনো গ্রাহক আর অতিরিক্ত সিম রাখতে পারবেন না। অন্যগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

এদিকে ভুয়া সিম নিবন্ধনের দায় এখন থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরকেই নিতে হবে। প্রতিটি ভুয়া সিমের জন্য তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পরও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে হুমকি, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, নারীদের উত্ত্যক্ত করা থেমে নেই। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীরা ভুয়া নিবন্ধিত সিম কিনে এসব অপরাধ করছে। ফলে এখন থেকে এর পুরো দায় অপারেটরের।

এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘যেখানে আইন রয়েছে একটি এনআইডি দিয়ে গ্রাহক ১৫টি সিম রাখতে পারবেন, সেখানে বেশি সিম থাকা তো অপরাধ! তাই আমরা অতিরিক্ত সিমগুলো ২৬ এপ্রিলের পর বন্ধ করে দেব।

গ্রাহক সর্বশেষ যে ১৫টি সিম কিনেছেন সেগুলো চালু থাকবে, আগেরগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এর আগে অপারেটর আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তখন কাস্টমার সেন্টারে গিয়ে পছন্দের সিমকার্ডগুলো রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে সিম নিবন্ধন এবং বায়োমেট্টিক ভেরিফিকেশন করা হলে একটি পরিচয়পত্রের বিপরীতে কতটি সিম থাকতে পারে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। নিবন্ধন এবং বায়োমেট্টিক ভেরিফিকেশন শেষে সেই সংখ্যা ১৫টি বেঁধে দেওয়া হয়।

পরে দেখা যায়, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির ওপরে নিবন্ধন করা সিমের সংখ্যা ৩০ লাখ পেরিয়ে গেছে। তখন গ্রাহকদের বাছাই করে সিম সংখ্যা নামিয়ে আনার কথা বলা হলে তিন লাখের কিছু বেশি সিম বন্ধ করে অপারেটরগুলো। এখন বিটিআরসি ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্টিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করেছে।

যেখানে সবগুলো অপারেটর যুক্ত আছে। ফলে সহজেই জানা যাচ্ছে অতিরিক্ত সিম কত। কোনো গ্রাহক চাইলে নিজেই মোবাইল ফোন থেকে *১৬০০১# ডায়াল করে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চার ডিজিট সেন্ড করলেই জেনে নিতে পাররেন তার নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা কত।

এর আগে গত পহেলা এপ্রিল বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ থেকে অপারেটরগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রতিটি সিম নিবন্ধন নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অপারেটরের। এর আগে কেবল অনিবন্ধিত সিম ধরা পড়লে প্রতিটির ক্ষেত্রে ৫০ ডলার হারে জরিমানা গুনতে হতো। এটাকে সুযোগ হিসেবে নেয় অপারেটররা।

এখন বিষয়টি পরিষ্কার করে চিঠিতে বলা হয়েছে, মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিয়ে কোনো সিম রেজিস্ট্রেশন হলে তার দায়-দায়িত্ব অপারেটরের। এজন্য তাদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।
রনবীরের একটা গোপন অসুখের কারনে ডিভোর্স দিচ্ছে দিপিকা


বিয়ের দুই দিন যেতে না যেতেই অসুস্থ হয়ে পরেছেন রনবীর সিং আর তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। হবারই কথা। সারাজীবন যে মানুষটার সাথে সংসার করতে হবে, সে মানুষটার গত দুদিনের ধকলেই এভাবে মুষড়ে পরা দেখে যেকোনো নারীই চিন্তায় পরবেন। রনবীর সিং ঠিক কি কারণে অসুস্থ হয়ে পরেছেন তা জানা ন‍া গেলেও শারীরিক দুর্বলতা ও ভিটামিনের অভাবের কথা জানা গেছে।

বাসায় প্রাইভেট ডাক্তার এনে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে বলেও জানা গেছে। সামাজিক লজ্জার কথা ভেবে হসপিটালে গিয়ে ভর্তি হননি রনবীর সিং। তবে খবর ঠিকই বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে বাইরে চলে এসেছে। যার দায়ভার অনেকটা দীপিকারই! রনবীরের গোপন অসুখের কথা জানতে পেরে দীপিকা চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পরেন এবং বান্ধবীদের কাছে ফোন করে পরামর্শ চাইতে থাকেন। সেখান থেকেই রনবীরের গোপন রোগের বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি রনবীর-দীপিকা পরিবার।

বিয়ের দুই দিন যেতে না যেতেই অসুস্থ হয়ে পরেছেন রনবীর সিং আর তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। হবারই কথা। সারাজীবন যে মানুষটার সাথে সংসার করতে হবে, সে মানুষটার গত দুদিনের ধকলেই এভাবে মুষড়ে পরা দেখে যেকোনো নারীই চিন্তায় পরবেন। রনবীর সিং ঠিক কি কারণে অসুস্থ হয়ে পরেছেন তা জানা ন‍া গেলেও শারীরিক দুর্বলতা ও ভিটামিনের অভাবের কথা জানা গেছে।

বাসায় প্রাইভেট ডাক্তার এনে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে বলেও জানা গেছে। সামাজিক লজ্জার কথা ভেবে হসপিটালে গিয়ে ভর্তি হননি রনবীর সিং। তবে খবর ঠিকই বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে বাইরে চলে এসেছে। যার দায়ভার অনেকটা দীপিকারই! রনবীরের গোপন অসুখের কথা জানতে পেরে দীপিকা চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পরেন এবং বান্ধবীদের কাছে ফোন করে পরামর্শ চাইতে থাকেন। সেখান থেকেই রনবীরের গোপন রোগের বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি রনবীর-দীপিকা পরিবার।
পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে ৭ মে

রমজান আসন্ন। আগামী ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত পালিত হবে। শবে বরাতের ১৫ দিন পরে শুরু রমজান মাস।সে হিসেবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান শুরু হতে পারে ৭ মে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বরাবরের মতো এ বছরও সেহরি ও ইফতারের সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট আগে ধরা হয়েছে। ফজরের নামাজের ওয়াক্তের শুরু সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পর রাখা হয়েছে। তাই সেহরির সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আজান দিতে হবে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রতিদিন ৮ কোটি করে খরচ করলেও টাকা শেষ হতে সময় লাগবে ২১৮ বছর!


যদি প্রতিদিন ৮ কোটি টাকা খরচ করেন, তবে তার যাবতীয় অর্থ শেষ হতে ২১৮ বছর লেগে যাবে। শুনে মাথা ঘুরছে? বিল গেটসের নিঃস্ব হতে কত বছর সময় লাগবে, জানলে অবাক হবেন!একজন ধনী ব্যক্তি যদি প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ডলার বা ৮ কোটি টাকা খরচ করেন, তাহলে তার নিঃস্ব হতে কত দিন লাগবে? এর জবাব হিসাব-নিকাশ করে তারাই বলতে পারবেন।কিন্তু মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস অক্সফামের নতুন এক গবেষণায় এ হিসাব দেওয়া হয়েছে যা গার্ডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। তার ৭৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ফুরোনোর এমনই হিসাব পাওয়া গেছে।

ওদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মেক্সিকান ব্যবসায়ী কার্সোল স্লিমের সময় লাগবে ২২০ বছর। বিনিয়োগ গুরু এ হারে খরচ করতে থাকলে ১৬৯ বছরে শূন্য হবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।তবে এসব অদ্ভুত হিসাব বিলিয়নেয়ারদের ক্ষেত্রেই করা যায়। আর বিশ্বে বিগত অর্থনৈতিক মন্দার পর বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। অক্সফাম জানায়, ২০০৯ সালে মার্চে ৭৯৩ জন বিলিয়নেয়ারের সংখ্যাটি ২০১৪ সালের মধ্যে ১৬৪৫ জনে দাঁড়ায়।

এই বিলিয়নেয়াররা তাদের মোট অর্থের ৫.৩ শতাংশ পরিমাণ প্রতিদিন ইন্টারেস্ট হিসাবেই পান। এই হারে বিল গেটস প্রতিদিন ১১.৫ মিলিয়ন ডলার কেবল ইন্টারেস্ট থেকেই আয় করেন।বিলিয়নেয়ারদের এই বিপুল পরিমাণ অর্থের কোনো শেষ নেই। বিশ্বের নাম করা ৮৫ জন ধনীর সম্পদের পরিমাণ যত, এই পৃথিবীর অর্ধেক দরিদ্র মানুষের মোট সম্পদের পরিমাণ তত।

কিন্তু তাদের যত অর্থই থাক না কেন, কেউই এই অর্থ অকাজে ওড়াতে চান না। তারা বহু কাজের কাজও করেন। বিভিন্ন চ্যারিটি এবং মানবকল্যাণে বিপুল পরিমাণ অর্থও প্রদান করেন বহু বিলিয়নেয়ার।

Friday, April 5, 2019

দিনের আলোতে বিমান, রাতে ঈমান!


বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইনসের সাইনবোর্ডের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

লাইট জ্বালানো ছবিটিতে দেখা যায়, বিমানের ‘বি’ অক্ষরের লাইটের বাতি জ্বলছে না। ফলে সেখানে ঈমান লেখা দেখা যাচ্ছে।

আর কেউ এ ছবিটি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। ফলে ফেসবুকের এক ওয়াল থেকে আরেক ওয়ালে যাচ্ছে।

ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ছবিটির ক্যাপশনে লিখেছেন ‘ঝড়ের পর বিমানের ঈমান ফিরে এসেছে।

আবার কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, ‘ঝড় তুফান বিপজ্জনক। তবে মাঝে মধ্যে বিনোদনও বটে! ঝড়ের পর বিমানের ঈমান ফিরে এসেছে, এমনটাই দেখাচ্ছে ছবিটি।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। বাংলাদেশ টুডে এবং বাংলাদেশ টুডে-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)
বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন দীপিকা-রণবীর!


বলিউডের লাভ বার্ড বলা হয় দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংকে। দীর্ঘ প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে গেল বছর রাজকীয়ভাবে বিয়ে করেছেন তারা। বিয়ের পর নাকি সুখেই ঘর করছিলেন রণবীর-দীপিকা। কিন্তু হঠাৎ সুখের ঘরে দুঃখের আগুন লেগেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।

সেই আগুনে পুড়ে ছাই হতে পারে এই তারকা দম্পতির দাম্পত্য সংসার। বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন এমন কথা ভেসে আসছে। হঠাৎ এমন কী হলো, যার জন্য বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তারা?

দীপিকা-রণবীরের বিচ্ছেদের খবর চাউর হতেই বলিপাড়ার হায় হায় রব উঠেছে। শোনা গিয়েছে, রণবীরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অর্জুনের মধ্যস্থতার জন্য ফোন করেছেন প্রিয় বন্ধু রণবীরকে। একদিকে অর্জুন যখন সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই মালাইকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন, তখন বন্ধু রণবীর বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। খবর সংবাদ প্রতিদিন।

খবরে বলা হয়, রণবীরের অদ্ভূত কাণ্ডকারখানায় মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন দীপিকা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সিনেমার সেট ছেড়ে চলে এসেছিলেন অভিনেত্রী।

রণবীরের পোশাকের রুচি নিয়ে বিরক্ত দীপিকা। রণবীরের পোশাক নির্বাচন একদমই পছন্দ করেন না বলে প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাছাড়া, রণবীর যেরকম পোশাক পরেন, তাতে নাকি প্রকাশ্যে দীপিকার ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে।

আর ছবির প্রচারে গিয়ে রণবীরের এদিক-ওদিক ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো কার্যকলাপেও বিরক্ত দীপিকা। ভেবেছিলেন বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে একসঙ্গে থাকতে থাকতে, কিন্তু হলো আর কই!

ওই খবরে আরও বলা হয়, দিন কয়েক আগেই এক গেট টুগেদারে রণবীরকে কষিয়ে চড় মেরেছিলেন স্ত্রী দীপিকা। তবে বিচ্ছেদের ব্যাপারে এখনও রণবীর-দীপিকার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Wednesday, April 3, 2019

 অনুমোদনের একটি ফটোকপি ছাড়া আর কিছুই দেখাতে পারেননি রূপায়ণ

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারের অনিয়মের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তদন্ত কমিটি যেসব তথ্য জানতে চেয়েছে সেগুলোর উত্তর দিতে পারেনি রূপায়ণ গ্রুপ। তদন্ত কমিটি তাদের কাছে ২৩ তলা বানানোর নকশা আছে কিনা,সংশোধিত নকশা অনুমোদনের জন্য রাজউকে আবেদন করা হয়েছে কিনাসহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। তবে এর উত্তরে কেবলমাত্র অনুমোদনের একটি ফটোকপি ছাড়া আর কিছুই দেখাতে পারেননি রূপায়ণ কর্মকর্তারা। ওই ফটোকপিতে অনুমোদনের যে তথ্য আছে তা নিয়েও সংশয় আছে রাজউকের। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছে। গত ৩১ মার্চ রাজউকের তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছিলেন রূপায়ণ কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৩১ মার্চ কমিটি তদন্তের স্বার্থে রূপায়নের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তাকে ডেকে বেশ কিছু তথ্য জানতে চান। এর মধ্যে ভবনটির ২৩ তলা অনুমোদনের মূল নকশা আছে কিনা; সংশোধিত নকশা অনুমোদনের জন্য রাজউকে আবেদন করা হয়েছে কিনা; আবেদন করলে তার রিসিভ কপি আছে কিনা; অনুমোদনের জন্য সরকার নির্ধারিত যে ফি পরিশোধ করতে হয় তা করা হয়েছে কিনা; করে থাকলে কোন ব্যাংক বা ব্যাংক রেজিস্টারে সে তথ্য আছে কিনা কিংবা তার কোনও রশিদ আছে কিনা; রিভাইস প্ল্যান অনুমোদনের জন্য যেসব সংস্থার ছাড়পত্র প্রয়োজন তা আছে কিনা; বনানীতে সিভিল এভিয়েশনের ২৩ তলার ভবন নির্মাণের অনুমতি আছে কিনা; তাদের কাছে (রূপায়ণ) এসব বিষয়ের প্রমাণপত্র না থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই ছাড়পত্রের পক্ষে কোনও নথি আছে কিনা। এসব প্রশ্নে জবাবে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা কোনও উত্তর দিতে পারেননি। তারা এক কথা জানিয়েছেন, শুধু অনুমোদনের একটি ফটোকপি ছাড়া তাদের কাছে কোনও কিছুই নেই।

রাজউকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান,১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ১৮ তলা ভবন অনুমোদনের জন্য এফ আর টাওয়ারের নকশায় অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু ভবন মালিক ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে আরও একটি নকশা পেশ করেন। সংশোধন করে এটিকেই মূল নকশা হিসেবে দাবি করেন তারা। অথচ রাজউকে যে নকশা সংরক্ষিত আছে তার সঙ্গে সেটির মিল নেই। পরে সেই ঘটনায় ২০০৭ সালের দিকে তদন্ত করা হয়। তদন্তেও দেখা যায়, ভবনটি মূল নকশার ব্যত্যয় ও বিচ্যুতি ঘটিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।

অপরদিকে, ডেভেলপার কোম্পানির একটি নথিতে দেখা গেছে, ২০০৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লিয়াকত আলী খান মুকুলের অনুকূলে ভবনটির নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়। পরের বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজউকের ৪৪তম বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন (বিসি) কমিটি ৮ দশমিক ৮ কাঠা জমির ওপর বাণিজ্যিকভাবে দুটি বেজমেন্ট ও ২৩ তলা ইমারত নির্মাণের অনুমোদন দেয়। অনুমোদন পাওয়ার পর রাজউকের তৎকালীন অথরাইজড অফিসার বদিউজ্জামান একই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুটি বেজমেন্ট ও ২৩ তলা ইমারত নির্মাণের অনুমোদনের নথিতে স্বাক্ষর করেন। পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি অনুমোদনের চিঠিটি ইস্যু করেন। তবে রূপায়ণের এই পত্রটি নিয়ে সন্দেহ আছে রাজউকের। এটিকে আমলে নিয়েই সংস্থাটি তদন্ত শুরু করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্রটি জানিয়েছে,তদন্ত কমিটি রূপায়ণের কর্মকর্তাদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেছে। আগামী রবিবার রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে সেই প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে। এরপর কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে রাজউক।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বুধবার দুপুরে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এফ আর টাওয়ারে দুর্ঘটনার পর আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটি তাদেরকে ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আগামী রবিবার কমিটি আমার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এফ আর টাওয়ারের কোনও নকশা পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আমাদের কাছে ১৮ তলার একটা নকশা আছে। কিন্তু ২৩ তলা নকশার একটা কাগজ আমি দেখেছি- সেটার কোনও সত্যতা নেই। আমি বলছি, আমার বা রাজউকে যে ফাইল রয়েছে সেখানে আমি এটা পাইনি। এখন কমিটি তদন্ত করছে। তাদের তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।

তবে বিষয়টি নিয়ে রূপায়ণ গ্রুপের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাইফুল ইসলমকে ফোন করলেও তিনি ধরেননি।

ভবনটির ভূমি মালিক এসএমএইচ আই ফারুকের ম্যানেজার কামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রথমে স্যার (ফারুক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য রূপায়ণের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। তাতে ভূমি মালিকের ৪৫ ভাগ ও ভবন মালিকের ৫৫ ভাগ নির্ধারণ করা হয়। পরে রূপায়ণ ২৩ তলা করার জন্য স্যারকে একটি প্রস্তাব দেন। কিন্তু স্যার সেই প্রস্তাবপত্রে স্বাক্ষর করেননি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, রাজউক থেকে যদি সঠিক নিয়মে অনুমোদন পাওয়া যায় তাহলে তিনি রাজি আছেন। কিন্তু তারা (ডেভেলপার) প্রপার ওয়েতে (সঠিক নিয়মে) রাজি হয়নি। ভূমি মালিকের অনুমোদন ছাড়াই তারা বাকি ভবন নির্মাণ করেছে। এই অনিয়মের বিষয়গুলো স্যার রাজউককেও একাধিক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন।
পয়লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ পরা যাবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ পরা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে কেউ চাইলে মুখোশ হাতে রাখতে পারবেন বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সারাদেশে নববর্ষের অনুষ্ঠান নিরাপদ ও আনন্দময় করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল চারুকলা, রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রবীন্দ্র সরোবরের মতো জনসমাগমস্থলে বিশেষ নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও বিশেষ তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে।’আজ বুধবার সচিবালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে। পুলিশের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে। নববর্ষের অনুষ্ঠানে ইভটিজিংসহ সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেখানে অনুষ্ঠান হবে সেখানে কঠোর নজরদারী থাকবে। অনুষ্ঠানস্থল সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, কোথাও কোনো নাশকতার খবর তারা পাননি। ‘তবে নাশকতার বিষয়ে আমরা সবাই সজাগ থাকবো। কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী থাকবে।’

Sunday, March 31, 2019

আপনার গুড়া কৃমি হলে কি করবেন ?


হঠাৎ করেই দেখতে পেলেন, আপনার সামনের লোকটি পাছা চুলকাচ্ছে। আমরা হচ্ছি পাছা চুলকানো জাতি। রাস্তায় বান্ধবীকে নিয়ে হাঁটছেন। বান্ধবীর সামনে আপনি হেয় প্রতিপন্ন হলেন। কি লজ্জার ব্যাপার। বা ধরুন, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন। হঠাৎ আপনার নিজেরই পাছা চুলক‍ালো। আমি দাঁত মুখ খিচে বসে আছেন। ঘেমে অস্থির অবস্থ‍া ! কেনো এমন হয়? আপনার গুড়া কৃমি হয়েছে… গুড়া কৃমি কেনো হয়? চলুন জেনে নেয়া যাক…

গুড়া কৃমি হবার কারণ .দূষিত পানি বা দূষিত খাবার খেলে। .রান্নার পূর্বে শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি ভালভাবে না ধুয়ে রান্না করলে।
সাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার না করলে। পায়খানার পর, অথবা খেলাধুলা বা কাজকর্মের শেষে এবং খাবার খাওয়ার পূর্বে সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত পরিস্কার না করলে। অন্যের পোশাক, তোয়ালে বা রুমাল ইত্যাদি ব্যবহার করলে।

গুড়া কৃমির চিকিৎসা:কৃমি আছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেক ক্ষেত্রে মল পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। পায়খানা বা বমির সঙ্গে কেঁচো কৃমি বের হলে অথবা রাতে মলদ্বার চুলকালে ধরে নেয়া যায় যে, তার গুড়া কৃমি আছে। যদি মল পরীক্ষার সুযোগ কিংবা সামর্থ্য না থাকে তাহলেও কৃমি আছে এরূপ সন্দেহ হলে মল পরীক্ষা না করিয়েও কৃমির ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। তবে চিকিৎসা গ্রহনের আগে মল পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া ভালো৷ গর্ভবতী মহিলা, জ্বর ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে কৃমির ঔষধ খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় ঔষধ খেতে হবে৷

গুড়া কৃমি প্রতিরোধে নিম্নলিখিত বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে –নিয়মিত গোসল করতে হবে এবং পরিষ্কার জামা কাপড় পরিধান করতে হবে।সবসময় বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ খাবার খেতে হবে।নখ বড় রাখা যাবে না। কারন- অনেক ক্ষেত্রেই বড় নখের কারনে কৃমির ডিম নখের সাহায্যে পেটে প্রবেশ করতে পারে।রান্নার পূর্বে ভালোভাবে শাক সবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি ধুয়ে তারপরে রান্না করতে হবে।খাবার রান্না ও পরিবেশনের সময় অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত ধুতে হবে।মল ত্যাগের পর অবশ্যই সাবান বা ছাই দিয়ে হাত ভালভাবে পরিস্কার করতে হবে।জন্মের প্রথম ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।অবশ্যই বাইরে যাওয়ার সময় জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে।মল নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।পায়খানা বা টয়লেট সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।প্রতি চার মাস অন্তর পরিবারের সবাইকে বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রার কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হবে। বাড়িতে কৃমি আক্রান্ত কেউ থাকলে সকলেরই সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরকম ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শমত সবাইকে কৃমির ঔষধ খেতে হবে।

আসুন রাস্তাঘাটে পাছা চুলকানোর ঝামেলা থেকে বাঁচতে আজই সতর্কতাবশত গুড়া কৃমির একটি চেকআপ করিয়ে নেন। এবং সচেতন থাকতে সর্বদা উপরের নিয়মগুলে‍া মেনে চলুন।

অন্যরকম একটি গল্প~ দশম শ্রেণীতে পড়তাম। আম্মা ১০০০ টা টাকা দিলেন।সাথে একটা বাজারের লিস্ট।বাজার করতে গিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দেখি টাকা গায়েব।ছোট পথ বিধায় তন্ন তন্ন করে টাকা খুঁজতে লাগলাম।মধ্যবিত্ত সংসার। ১০০০ টাকা বলতে আমাদের কাছে পাহাড়সম।পাবো না জেনেও পাগলের মত টাকা খুঁজতেছি।ঘর থেকে ছোটভাই পিটুকে আমার খোঁজে পাঠিয়েছেন আম্মা।ঘরে নাকি রান্না চড়ানো হয়নি এখনো।

আমি প্রচন্ড টেনশানে মুখগোমড়া করে বসে আছি।পিটু বড়ি চল বাড়ি চল বলে ঘ্যানঘ্যান করতে লাগলো।ঠাস করে গালে একটা চড় বসিয়ে দিলাম।পিটু হততম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে।আমি হু হু করে অবুজের মত কান্না করতে লাগলাম।পিটুর ফর্সা গালে দাগ বসে আছে।সে কি বুঝলো ঠিক জানি না।বাড়ি ফিরে গেলো।আমি ভয়ে অস্থির।আজকে পিঠের ছাল বোধয় আর থাকবে না।কি জানি পিটু গিয়ে মাকে কি বলে।লুকিয়ে যাবো কিনা তাও বুঝতে পারছি না।আমি কি ভেবে স্তব্ধ হয়ে বসে কান্না করতে লাগলাম।

একটু পর দেখি পিটু হাতে মাটির একটা ব্যাংক নিয়ে আমার কাছে এগিয়ে আসছে।আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।পিটু এসে বললো ভাইয়া ব্যাংকটা ভেঙ্গে ফেলো।জানিনা কতটাকা হয়েছে।একবছর ধরে জমিয়েছি।বাবা প্রতিদিন দুটাকা দেয়।মাও দিতো।ভাইয়া তুমিও অনেক টাকা দিয়েছো।আমার কাছে হিসেব আছে।তুমি এ পর্যন্ত একশো পঞ্চান্ন টাকা দিয়েছো।কিছু না ভেবে পিটুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।বোধয় অনেক্ষণ ধরে কেঁদেছি।পিটু বললো ভাইয়া শুধু কি কান্না করতে থাকবে নাকি ব্যাংকটা ভেঙ্গে টাকা বের করবে।মা অপেক্ষা করছে তো।

দুভাই মিলে রাস্তার উপর ব্যাংক ভেঙ্গে টাকা গুনছি। আমার মনে হলো এই দৃশ্যটা পৃথিবীর সবচাইতে সেরা একটি দৃশ্য। প্রায় বারোশত টাকা জমিয়েছে পিটু।অনেকদিনের জমানো টাকা খরচ করতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আমার উপায় নেই।বাজার বাবত নয়শো টাকা খরচ করেছি।পঞ্চাশ টাকা দিয়ে পিটুর জন্যে নতুন একটা ব্যাংক কিনলাম এবং সেখানে বাকী টাকাগুলো ফেলে দিলাম।তার কাছে ওয়াদা করলাম এবার থেকে আমিও টাকা জমিয়ে তার দেয়া ঋণ শোধ করবো।সে তাকিয়ে হাসলো।পিটু আর আমি দুভাই দুটো জিলাপী কিনে বাজার সহ বাসায় রওয়ানা হয়েছি।

সেদিন দেরি করার জন্যে মার হাতে অনেক মার খেয়েছি।কিন্তু পিটুর ভালোবাসার কাছে সেদিন মারগুলো অতি তুচ্ছ মনে হল।
পিটুর সপ্তম শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে।সে পাশ করতে পারেনি।আমি বেশ চিন্তিত।বাবা নিশ্চই পিটুকে আস্ত রাখবে না।ঘরে গিয়ে বাবাকে কিছু জানাই নি।মা বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করলেন।আমি ভয়ে ভয়ে জবাব দিলাম পিটু ফেল করেছে।মা বেশ বিব্রত বোধ করলেন।এটা বাবাকে বললে ছোট্ট পিটুকে আস্ত রাখবেন না।বাবা বেশ রাগী কিনা!কিন্তু সে রাতে বাবা কেমন করে জানি জেনে গেলেন ব্যাপারটা।স্কুলে ফোন করেছিলেন বোধয়।তারপর ছোট্ট পিটুকে এমন মার মারলেন দেখে আমি আর মা কাঁদতে লাগলাম।পিটুকে সেদিন বাঁচাতে পারিনি ভয়ে।

রাতে মা জুবুথুবু হয়ে কাঁদছেন।বাবা অনেক বকেছেন মা কে।আমি জানি পিটু কোথায় লুকিয়ে থাকবে।আমি চুপি চুপি রান্নাঘরে গিয়ে প্লেটে ভাত বেড়ে পুরোনো আসবাব রাখার ঘরের ছাদে উঠে গেলাম। হাতে ভাতের প্লেট পকেটে মোমবাতি আর দেয়াশলাই।পিটুর সারাগায়ে মারের দাগ।সে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।সাথে আমি কাঁদছি।মোমবাতি জ্বালিয়ে পিটুকে ভাত খাইয়ে দিলাম।পিটু বললো ভাইয়া আমাকে কি কোনো ক্রমেই অষ্টম শ্রেণীতে তুলতে পারবে না?পরেরবার থেকে খুব ভালো করে পড়বো।আর দুষ্টুমি করবো না।সত্যি বলছি তোমায়।

কিচ্ছু ভাবিনি সেদিন।পরেরদিন সোজা গিয়ে মাস্টার চাচার পা চেপে ধরেছি।কঠিন শপথ করে বলেছি আমি খুব করে পড়াবো চাচা।আপনি না বলেন আমি ভালো ছাত্র।মেধাবী ছাত্র।আমার ভবিষ্যৎ নাকি উজ্জ্বল।চাচা আপনার সেই মেধাবী ছাত্রই আপনার পা ছুয়ে বলছে আমার ছোট্ট পিটু পারবে।দয়া করে পিটুকে পাশ করিয়ে দিন। মাস্টার চাচার মন গললো।বোর্ড পরীক্ষা ছিলো না বিধায় হেডস্যারকে খুব রিকোয়েস্ট করে পিটুকে অষ্টম শ্রেণীতে তুলে দিলো।

ঠিকই পরের বছর অবিশ্বাস্য ভাবে পিটু চারটা সাবজেক্ট লেটার মার্ক নিয়ে বেশ ভালোভাবে পাশ করলো।আমার কষ্ট পিটু সার্থক করলো।পুরো স্কুলে সবচাইতে বেশি নম্বর পেলো।
আমার খুশি দেখে কে।খুশিতে আমি পিটুকে জড়িয়ে ধরে অনেক্ষণ কাঁদলাম।বেশ মন ভরেই কাঁদলাম।ঠিক যেদিন হাজার টাকা হারিয়ে ফেলেছিলাম সেদিনের মত।বাবা কাঁদলেন।কাঁদলেন মা আর মাস্টার চাচা।

অর্থকষ্টের মধ্যেও খুশিতে বাবা ঘোষণা করলেন আমরা বেড়াতে যাবো।নীলগিরির নীল আকাশে সবাই হারিয়ে যাবো। ২৭ ডিসেম্বর গেলাম পুরো একটা দিন অনেক মজা করলাম।রাতে ফেরার পথে ঘন কুয়াশার কারণে আমাদের ড্রাইভার দিক হারিয়ে ফেললো।গাড়ি উঁচুনিচু রাস্তার পাশের খাদে পড়ে গেলো। ঠিক কতদিন পর জানি না।চোখ খুলে দেখলাম বাবা-মার চোখ ভীষণ ফোলা।তারা আমাকে জাগতে দেখে হু হু করে কেদে উঠলো।মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করলাম।মনের অজান্তে অস্ফুট স্বরে পিটু পিটু করতে লাগলাম।চোখের কোণায় অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।জানি না কেনো।

হ্যাঁ সেদিন আমি জাগলেও পিটু আর জাগে নি।দুর্ঘটনার সাথে সাথেই আমার ছোট্ট পিটু আর ড্রাইভার মারা যায়।মা-বাবাও কম বেশি ব্যাথা পান।আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আর পিটুকে সেদিনই দাফন করা হয়। সুস্থ হওয়ার পরে পিটুর কবরের পাশে দাড়িয়ে চিৎকার করে বললাম পিটু ওঠ আমার ভাই। তোকে আমি নবম শ্রেণীতে ভর্তি করবো।তুই হবি আমার স্কুলের ছাত্র হয়ে পাশ করা প্রথম ডাক্তার।তুই আমার কাছে ওয়াদা করেছিলি পিটু ভালো করে পড়বি।তোকে ওঠতে হবে পিটু। তোর হাজার টাকার ঋণ যে শোধ করা হলো না….

Saturday, March 30, 2019

ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীকে গণধোলাই


আজ শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই তিনজন ছাত্রকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয় উপস্থিত লোকজন। পরে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন পানির পাম্প এলাকায় এক পথচারীকে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে তিন শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করার ঘটনা ঘটেছে।আটককৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সঞ্জয় ঘোষ (৪৪ ব্যাচ), ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের রায়হান পাটোয়ারি (৪৫ ব্যাচ) এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের আর রাজি (৪৫ ব্যাচ)।

এদের মধ্যে রায়হান পাটোয়ারির ওপর অন্য একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই বছরের বহিষ্কারাদেশ রয়েছে। এদিকে ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরারবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছে ওই পথচারী।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন সড়ক দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য ক্যাম্পাসের বিশমাইল এলাকার শ্বশুর বাড়ির কোয়াটার থেকে যাচ্ছিলেন এক পথচারী। পথিমধ্যে ওই পথচারীকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

পরে তাকে সড়ক থেকে জিম্মি করে পানির পাম্প সংলগ্ন ঝোঁপে নিয়ে গিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এসময় পথচারীকে দিয়ে বাড়িতে ফোন কলের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে ছিনতাইকারীরা।পথচারী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এবং সাথে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাইয়ে বাধা দিলে তাদের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তির শব্দ শোনে সড়ক থেকে উপস্থিত কয়েকজন পথচারী ঘটনাস্থলে গেলে দুই জন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়।

বাকি তিনজনকে লোকজন হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপত্তা শাখার কর্মকতারা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসেন।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান বলেন, অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদে ছিনতাইয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগের একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রায়হান পাটোয়ারি দুই বছর বহিষ্কৃত তারপরেও তিনি ক্যাম্পাসে কেন এমন প্রশ্নে প্রক্টর বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।আজ শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই তিনজন ছাত্রকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয় উপস্থিত লোকজন। পরে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন পানির পাম্প এলাকায় এক পথচারীকে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে তিন শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করার ঘটনা ঘটেছে।

আটককৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সঞ্জয় ঘোষ (৪৪ ব্যাচ), ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের রায়হান পাটোয়ারি (৪৫ ব্যাচ) এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের আর রাজি (৪৫ ব্যাচ)।এদের মধ্যে রায়হান পাটোয়ারির ওপর অন্য একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই বছরের বহিষ্কারাদেশ রয়েছে। এদিকে ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরারবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছে ওই পথচারী।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন সড়ক দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য ক্যাম্পাসের বিশমাইল এলাকার শ্বশুর বাড়ির কোয়াটার থেকে যাচ্ছিলেন এক পথচারী। পথিমধ্যে ওই পথচারীকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

পরে তাকে সড়ক থেকে জিম্মি করে পানির পাম্প সংলগ্ন ঝোঁপে নিয়ে গিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এসময় পথচারীকে দিয়ে বাড়িতে ফোন কলের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে ছিনতাইকারীরা।পথচারী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এবং সাথে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাইয়ে বাধা দিলে তাদের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তির শব্দ শোনে সড়ক থেকে উপস্থিত কয়েকজন পথচারী ঘটনাস্থলে গেলে দুই জন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়।বাকি তিনজনকে লোকজন হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপত্তা শাখার কর্মকতারা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান বলেন, অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদে ছিনতাইয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এর আগের একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রায়হান পাটোয়ারি দুই বছর বহিষ্কৃত তারপরেও তিনি ক্যাম্পাসে কেন এমন প্রশ্নে প্রক্টর বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ছেঁড়া জুতা পরিবর্তন করে না দেওয়ায় অ্যাপেক্সকে জরিমানা


রতিশ্রুতি অনুযায়ী ছেঁড়া জুতা পরিবর্তন করে না দেয়ায় অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা জানিয়েছেন, গ্রাহ‌কের অভিয়োগ শুনানিতে প্রমাণিত হওয়ায় এ জরিমানা করা হয়।

শাহনাজ সুলতানা ব‌লেন, ‘রাজধানীর গু‌লিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের অ্যাপেক্স শোরুম প্র‌তিশ্রু‌তি অনুযায়ী গ্রাহ‌ককে সেবা দেয়‌নি তারা। এ বিষয়ে অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন একজন গ্রাহক। অ‌ভি‌যোগকারী ও অ্যাপেক্স কর্তৃপক্ষের উপ‌স্থি‌তি‌তে শুনানি হয়।শুনানিতে অ‌ভি‌যোগ প্রমাণিত হ‌ওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় অ্যাপেক্সকে ২০ হাজার টাকা জ‌রিমানা করা হ‌য়ে‌ছে। আইন অনুযায়ী জ‌রিমানার ২৫ শতাংশ অ‌ভি‌যোগকারী‌কে প্রদান করা হ‌বে।’

জানা যায়, অ্যাপে‌ক্সের বিরু‌দ্ধে অ‌ভি‌যোগটি করেন রহমান আ‌জিজ না‌মের এক বেসরকা‌রি চাক‌রিজীবী। তি‌নি গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম মার্কেটের অ্যাপেক্স শোরুম থেকে এক হাজার ৯০ টাকা দিয়ে এক জোড়া জুতা কেনেন। তখন শোরুমের বি‌ক্রিয়কর্মী জানান- এক মাসের মধ্যে জুতার কিছু হলে পরিবর্তন এবং ছয় মাসের মধ্যে কিছু হলে মেরামত করে দেবেন।

কিন্তু মাত্র ১২ দিনের মাথায় (২০ ফেব্রুয়ারি) জুতা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। এরপর ২২ তারিখ শোরুমে গিয়ে সমস্যাটি জানান। তখন অ্যাপে‌ক্সের কর্মী জানান, এটা পরিবর্তন হবে না রেখে যান ঠিক করে দেব। এক সপ্তাহ পর এসে নিয়ে যাবেন। তখন তাকে বলা হয়- কেনার সময় এমনটা বলেননি। তখন অ্যাপে‌ক্সের কর্মী জুতা প‌রিবর্তন না ক‌রে উ‌ল্টো ক্রেতার স‌ঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।

এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি হয়রানি এবং বেশি দাম নিয়ে নিন্মমানের পণ্য দেয়ার বিচার চেয়ে অভিযোগ দেন রহমান আ‌জিজ। তার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) শুনানি হয় এবং বিষয়‌টি প্রমাণ হওয়ায় অ্যাপেক্স‌কে জরিমানা ক‌রে ভোক্তা অ‌ধিদফতর।

অ‌ভি‌যোগকারী রহমান আ‌জিজ ব‌লেন, অ্যাপেক্স‌ এক‌টি নামিদা‌মি প্র‌তিষ্ঠান। তারা ভোক্তার স‌ঙ্গে এ ধর‌নের আচরণ কর‌বে তা কখ‌নো ভা‌বি‌নি। আ‌মি ভোক্তা অ‌ধিদফত‌রে অ‌ভি‌যোগ ক‌রে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি এতে খুশি। আশা কর‌ব এ‌তে ক‌রে অ্যাপেক্স‌ কর্তৃপক্ষ সংশোধন হ‌বে। অন্য‌দি‌কে আমার মতো কেউ পণ্য কি‌নে প্রতা‌রিত হ‌লে বা প্র‌তিশ্রু‌তি অনুযায়ী সেবা না পে‌লে ভোক্তা অ‌ধিদফত‌রে অ‌ভি‌যোগ কর‌বেন। আশা কর‌ছি ন্যায়বিচার পা‌বেন।

Monday, March 11, 2019

জীবনে ‘প্যারা’ শব্দ শুনিনি, এটা কী ধরনের শব্দ? :প্রশ্ন হাইকোর্টের


জীবনে ‘প্যারা’ শব্দ শুনিনি, ব্যবহারও করিনি…। কোকা-কোলা এটা কী ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছে- প্রশ্ন হাইকোর্টের। কোমল পানীয় কোকা-কোলার (কোক) বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বাংলা ভাষার বিকৃত শব্দ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারপতি।শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেন “আমি আমার জীবনে ‘প্যারা’ শব্দ শুনিনি, ব্যবহারও করিনি… কোকা-কোলায় এটা কী ধরনের শব্দ ব্যবহার!”

কোকের বিজ্ঞাপনে বাংলা ভাষার বিকৃতি বন্ধে দায়ের করা রিটের ওপর সোমবার শুনানি চলছিল। এদিন দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

এদিন রিটকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা কোকা-কোলার বোতল বিচারপতির সামনে হাজির করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়। রিটকারীর আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘এ ধরনের ভাষার বিকৃতি বাংলা ভাষার জন্য অপমানজনক। অবিলম্বে বিজ্ঞাপনে ভাষার বিকৃতি বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হোক।’

অন্যদিকে, কোকা-কোলার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম বলেন, রিটটি গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া দেশের প্রচলিত আইনে বাংলা ভাষার ব্যবহার কোন অপরাধ নয়। এ সময় আদালতে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ কোকা-কোলার আইনজীবীর কাছে জানতে চান, পানীয়তে বাংলা না লিখলে কী হতো?

কোকের আইনজীবী উত্তরে বলেন, আমার ভালো লেগেছে, লিখেছি। তখন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, তাহলে লিখতেন পানির ঠিলে।এ সময় ব্যাপক হাস্যরসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় আদালতে। পরে রিট আবেদনে ত্রুটি থাকায় রিটকারীর আইনজীবীকে সেটি সংশোধন করে আবারও আদালতে আসতে বলা হয়।

কোকা-কোলার বোতলের গায়ে অস্থির, ফাঁপর, মাথা নষ্ট, জটিল, আগুন, পিছলা, আলু, জিনিস, গাব, সেই, ব্যাপক, জিরো, বাবা, আলপিন, আরকি ইত্যাদি শব্দে নামকরণ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে যা বাংলা ভাষার বিকৃতির শামিল বলে মনে করেন রিটকারী।কোমল পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলার বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বাংলা ভাষার বিকৃত শব্দ কেন ব্যবহার করা হচ্ছে তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা।

গত বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রচারিত কোকা-কোলার বিজ্ঞাপনে বাংলা ভাষার বিকৃতি বন্ধেরও নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে বাংলা ভাষার বিকৃতি বন্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে রুল জারিরও আর্জি জানানো হয়।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রিটকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান রানা জানান, রিট কোকা-কোলার ব্যবসা বন্ধের জন্য করা হয়নি। বাংলা ভাষার বিকৃতি রোধে করা হয়েছে।

এ রিটের বিবাদীরা হলেন- আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

রিটকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান রানা আরও বলেন, কোমল পানীয় কোকা-কোলার বোতলের বিজ্ঞাপনে জটিল, চরম, মাথা নষ্ট, বাবু, ঢিলা, ফাঁপর, জান, গুটি, গাব, আগুন, কড়া, অস্থির, পার্ট, প্যারা, ব্যাপক, যা-তা এর মতো বাংলা শব্দের ব্যবহার নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

আইনজীবী জানান, সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে বুধবার চন্দন চন্দ্র সরকারের পক্ষে এ রিট আবেদন করেছি। তিনি বলেন, রিট আবেদনে কোমল পানীয় কোকা-কোলার বোতলের বিজ্ঞাপনে বাংলা শব্দের অপব্যবহার কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না- তা জানতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

মনিরুজ্জামান রানা বলেন, এ শব্দগুলো বোতলে বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা প্রচার করছে। এটা আপত্তিজনক। আমরা চাই এ ধরনের শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে। কারণ একটা শিশু দোকানে গিয়ে বলছে, ‘আমাকে একটা প্যারা দেন’, ‘একটা মাথা নষ্ট দেন।’ এটার তো নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হচ্ছে। তাই এটার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এ কারণেই রিট আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এ রিটের বিষয়ে জানান, টেলিভিশন ও প্রিন্টমিডিয়ায় কোকা-কোলা বেভারেজ কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেয়ার সময় বাংলা ভাষায় একই শব্দের কয়েকটি অর্থযুক্ত বিভিন্ন বাক্য ব্যবহার করা হয়। যা বাংলা ভাষার বিকৃতি ও শ্রীহীন মনে হয়। এমনকি কুরুচিরও প্রকাশ পায়।

Sunday, March 10, 2019

‘পুলিশের কেউ মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখুন’

পুলিশের সহযোগিতা কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তা ছাড়া মাদক ব্যবসা চলতে পারে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, পুলিশের কেউ মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখুন, আমরা এসে টেনে নিয়ে যাব।

রোববার বিকেলে রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ডিএমপি আয়োজিত ‘মাদক ও জঙ্গি বিরোধী সমাববেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের সহযোগিতা কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগিতা ছাড়া মাদক ব্যবসা চলতে পারে না। পুলিশ যদি মাদকের আস্তানা থেকে চাঁদা তুলে, নেতারা যদি চাঁদা তুলে কিংবা সুবিধা নেয় তাহলে মাদক ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না।

স্থানীয়দের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পুলিশের কোন সদস্য মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখবেন। আমরা এসে টেনে নিয়ে যাব। সাধারণ অপরাধীর মতো তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। ইতোমধ্যে অনেক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

‘জনপ্রতিনিধি-স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বলব, আপনারা দল ভারী করা জন্য বা অন্য যে কোন কারণে চোর-ছিনতাইকারী বা মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেবেন না। তাহলে আপনারাও রক্ষা পাবেন না।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জায়গা খুঁজতেই ১২০ কোটি টাকা ব্যায়!


ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা না ভেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পে ব্যয় করা হয় ১২০ কোটি টাকা। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে মাদারীপুর বা শরীয়তপুর বাদ দিয়ে ঢাকার আশপাশে জমি খোঁজার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফলে জলে গেছে সরকারের ১২০ কোটি টাকা! মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, খাস জমির সংকট ও হাজার হাজার মানুষ ও তাদের বাড়িঘর উচ্ছেদকে বাধা বিবেচনা করে ঢাকার আশপাশে জমি খোঁজার নির্দেশ দেয়া হয়। এর ফলে কোন কাজেই আসল না সরকারের ১২০ কোটি টাকা!

বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েইকে নতুন জমি নির্বাচন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিপ্পন এবার ঢাকার আশপাশে এ প্রকল্পের জন্য জমি নির্বাচন করবে।

ঢাকার পাশে আগে যেসব স্থান খোঁজা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এবং নতুন স্থান নির্বাচন করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ শিগগিরই বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। চলতি সপ্তাহে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।

বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, এ ধরনের বিমানবন্দর নির্মাণে অনেক দিক বিবেচনায় রাখতে হয়। সার্বিক বিবেচনায় মাদারীপুর বা শরীয়তপুরের বদলে ঢাকার আশপাশে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্যে জমি খোঁজা হচ্ছে। তবে প্রকল্পে ব্যয় হওয়া পুরো অর্থ জলে যাবে না। এ খাতে ব্যয় কিছুটা বাড়তেও পারে।

মহিবুল হক বলেন, খাস জমির সংকট ও ঘনবসতিতে হাজার হাজার মানুষ ও তাদের বাড়িঘর উচ্ছেদকে বাধা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নিপ্পন কোয়েই লিমিটেড ২০১৫ সালের জুলাই থেকে জাজিরা ও শিবচরে প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে। আগামী জুনের মধ্যে ১৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সব কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগেই সম্প্রতি জাপানি এই প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন জমা দেয়। এ পর্যন্ত প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।যা কোনো কাজেই লাগল না। এরইমধ্যে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিপ্পন কোয়েইকে নতুন জায়গা বের করতে বলেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে এ প্রকল্প ব্যয়ের ভার বহন করতে হবে সরকারকে।
শতভাগ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন কিম!


রবিবার উত্তর কোরিয়ার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে শতভাগ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন।তবে, এই নির্বাচনে সব আসনেই প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ছিল একজন। বিগত নির্বাচনগুলোতেও প্রতি আসনে ১ জনই প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।

বিবিসি’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটির সংসদ ‘সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি’র (এসপিএ) এই নির্বাচনে প্রার্থী মোট ৭০০ জন হলেও প্রতিটি আসনেই প্রার্থী মাত্র ১জন। কোনও আসনেই বিকল্প কোন প্রার্থী নেই।

দেশটির প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সেখানকার ভোটারদের কোন সিল কিংবা ব্যালট পেপার পূরণ করা লাগেনা। ভোটের দিন ভোটারদের শুধু প্রতিটি আসনের জন্য নির্ধারিত প্রার্থীর নাম লেখা ব্যালট পেপার ব্যালট বাক্সে ফেলে দিয়ে হয়।’

দেশটির নির্বাচনে ভোটারদের ব্যালট পূরণ করতে হয় সবার সামনে। আড়ালে গিয়ে ভোট দেওয়া এবং নির্ধারিত প্রার্থীদের নাম কেটে দেওয়ার বিধান থাকলেও কোন ভোটার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেও তার উপর শুরু হয় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাবাহিনীর নজরদারি।

উত্তর কোরিয়ার পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোতে যেসব ভোটার এই নিয়মের ব্যতিক্রম করেছেন তাদেরকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল দেশটির সরকার।

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর পর পর উত্তর কোরিয়ার এসপিএ নির্বাচনে ৭০০ জন প্রার্থী ‘জনগণের ভালোবাসায়’ নির্বাচিত হয়ে থাকেন। প্রতিবারই দেশটির নির্বাচনে বর্তমান শাসক পরিবার শতভাগ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে থাকে।

দেশটির নির্বাচন প্রসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ ফিওদোর টেরটিটস্কি বলেন, ‘ভোটের দিন শাসক পরিবারের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা ‘দেখাতে’ নাগরিকরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন। শুরু থেকেই কেন্দ্রগুলোতে থাকে দীর্ঘ লাইন। সেখানে প্রত্যেক ভোটারের হাতে একটি করে ব্যালট পেপার দিয়ে দেওয়া হয় যাতে একজন প্রার্থীরই নাম থাকে।’

তিনি জানান, ‘ভোট দেওয়াই শেষ নয়। ভোটকেন্দ্র থেকে হাসিমুখে বেরিয়ে আসতে হয় ভোটারদের, যাতে প্রকাশ পায় এক দলীয় শাসন ব্যবস্থায় থাকা উত্তর কোরিয়ার ‘জ্ঞানী নেতৃত্বকে’ ভোট দিতে পেরে আনন্দ অনুভূত হচ্ছে! উত্তর কোরিয়ার নিয়ময়ানুযায়ী ১৭ বছরের বেশি বয়সী সবাইকেই বাধ্যতামূলক ভোট প্রদান করতে হয়। যারা ভোট দিতে যায় না, ধরে নেওয়া হয় তারা চীনে পালিয়ে গেছে।

যে সংসদ গঠন করাকে নিয়ে এতো আয়োজন সেই সংসদের ক্ষমতা কতখানি তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছে বারবার। এ প্রসঙ্গে টেরটিটস্কি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলে থাকে, উত্তর কোরিয়া সংসদের ক্ষমতা সীমিত। কিন্তু তা সত্য নয়। আসলে সংসদ পুরোপুরি ক্ষমতাশূন্য’।
বর্ষার আগেই রোহিঙ্গাদেরকে নোয়াখালীতে স্থানান্তর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


বর্ষা মৌসুমের আগেই বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গাদেরকে ভাসান চরে স্থানান্তর করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে, ওমেন সামিট অ্যান্ড এসডিজি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

তিনি জানান সরকার তাদেরকে স্থানান্তরের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত তবে কিছু উন্নয়ন সংস্থা রোহিঙ্গাদেরকে ভাসান চরে যেতে নিরুত্সাহিত করছে। যেকারণে স্থানান্তর প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে।এসময় তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে অভিযুক্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ।

বর্ষা মৌসুমের আগেই বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গাদেরকে ভাসান চরে স্থানান্তর করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে, ওমেন সামিট অ্যান্ড এসডিজি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

তিনি জানান সরকার তাদেরকে স্থানান্তরের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত তবে কিছু উন্নয়ন সংস্থা রোহিঙ্গাদেরকে ভাসান চরে যেতে নিরুত্সাহিত করছে। যেকারণে স্থানান্তর প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে।এসময় তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে অভিযুক্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ।

বর্ষা মৌসুমের আগেই বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গাদেরকে ভাসান চরে স্থানান্তর করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে, ওমেন সামিট অ্যান্ড এসডিজি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

তিনি জানান সরকার তাদেরকে স্থানান্তরের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত তবে কিছু উন্নয়ন সংস্থা রোহিঙ্গাদেরকে ভাসান চরে যেতে নিরুত্সাহিত করছে। যেকারণে স্থানান্তর প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে।এসময় তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে অভিযুক্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ।


Saturday, March 9, 2019

জড়িয়ে ধরার চাকরি, ঘণ্টা প্রতি ৫৮০০ টাকা


আপনি কি একা? সঙ্গী দূরে থাকে? মন খারাপ হলে আলিঙ্গন করার কেউ নেই? অবাক হবেন না এখন এই সেবাও চালু হয়েছে। আর অবাক করা এই সেবা কার্যক্রম প্রথমে নিউ ইয়র্ক দিয়ে শুর হলেও এখন আমেরিকা তো বটেই অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।প্রথমে একাকী মহিলাদের জন্য চালু হলেও পরে তা পুরুষ ও মহিলা দুই ক্ষেত্রেই চালু হয়। সম্পর্কে থাকলেও যারা একা, স্বামী বা স্ত্রী কাজের জন্য বাইরে, কিংবা সম্পর্কে নেই, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই ‘কাডলিং সার্ভিস’ শুরু।

সমাজতাত্ত্বিক, মনোবিদরা বলছেন, আলিঙ্গন মন খারাপ কিংবা একাকিত্ব দূর করার সবচেয়ে বড় ওষুধ।বছর দু’য়েক আগে এই সেবা প্রথম চালু হয় নিউ ইয়র্কে। তখন দর ছিল ঘণ্টা প্রতি ৫৮০০ টাকা। অস্ট্রেলিয়াতে এর খরচও মোটামুটি একই। এই সেবা নেওয়া গ্রাহক বছর একচল্লিশের মহিলা সাসকিয়া ফ্রেডেরিকস বলেন, মাসে মাত্র কয়েক দিন তাঁর স্বামী সঙ্গে থাকেন। একাকিত্ব বোধ করেন। তাই স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করেই এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

নিউ ইয়র্কে তিনি, আর স্বামী কানেকটিকাটে দ্য ন্যাশনাল গার্ডের একজন পুলিশ অফিসার। তাই মাসে দু’বার কাডলার সার্ভিসের সাহায্য নিচ্ছেন সাসকিয়া।সাসকিয়ার স্বামী বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন কারণ সংস্থার শর্ত অনুযায়ী এতে কোনওরকম যৌনতা নেই।সাসকিয়া বলেন, আলিঙ্গনের কোনও বিকল্প নেই। মাথায় হাত রাখলে কিংবা পাশে কেউ তাঁকে জড়িয়ে ঘুমোতে গেলে তিনি নিরাপদ বোধ করেন।
কাডল সেশনের জন্যই তিনি অবসাদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন, জানান তিনি। কারণ এতে তাঁর শরীরও নাকি ‘ফিট’ থা কছে।

টাকা দিচ্ছেন বলে এতে গ্রাহকের কোনও অস্বস্তিবোধও নেই বলে জানিয়েছে সংস্থা। তাদের দাবি, আমেরিকার চাকুরিরতা মহিলাদের মধ্যে এর চল বাড়ছে।সাসকিয়া বলেন, তাঁর স্বামী আশাবাদী, তাঁর সহকর্মীরাও বিষয়টিকে খারাপ ভাবে দেখবেন না।নিউ ইয়র্কের এই সংস্থার সিইও অ্যাডাম বলেন, দু’ঘণ্টার বেশি একদিনে এই সেবা মিলবে না। সপ্তাহে তিনদিনের জন্য এটি চালু করা হচ্ছে।মহিলা ছাড়াও পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এমনকি একেবারে তরুণ প্রজন্মও এসেছে এই কাডলিং সার্ভিস নিতে। পরিণত মনের মানুষরা এই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাই কাডলিংয়ের ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের ইচ্ছা আসাটা স্বাভাবিক হলেও পেশাদারিত্বের কারণেই তা অন্য ভাবে দেখছেন কর্মীরা।

অ্যাডাম বলেন, একই মানসিকতার মানুষের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনও জরুরি, সে কথা মাথায় রেখেই এই সেবার ভাবনা। আমেরিকার অন্য শহরেও এই সেবা ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা ছিল সংস্থা। স্পেনের সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, বর্তমানে আমেরিকার ১৯টি শহরে রয়েছে এই সেবা। পেশাদার কাডলার ইয়ান বলেন, এই পরিষেবা মনকে ভারমুক্ত করছে। নিজেকে মানুষ হিসাবে মেলে ধরার জন্যই এই পরিষেবা নিচ্ছেন আরও অনেকেই।

Friday, March 8, 2019

 রাজধানীর গণপরিবহনে নারীর আসন পুরুষের দখলে


রাজধানীর প্রতিটি গণপরিবহনে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ৯টি আসন সংরক্ষিত রাখা হলেও এসব আসন প্রায় সময়ই পুরুষের দখলে থাকে। সাধারণ গণপরিবহনে এ নিয়ম কিছুটা মানা হয় বটে। তবে সিটিং সার্ভিস ও দূরপাল্লার পরিবহনগুলোতে নারীদের জন্য কোনও আসন রাখা হয় না। এ নিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় নারীদের। নগরীর গণপরিবহনগুলোতে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

আইন অনুযায়ী, গণপরিবহনের বড় বাসগুলোতে ৯টি এবং ছোট বাসগুলোতে ৬টি আসন সংরক্ষিত রাখান বিধান রয়েছে। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গণপরিবহনে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আসন সংরক্ষণের বিধান করা হয়। সে সময় গণপরিবহনে নারীদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষণে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে সিদ্ধান্ত হয়, বড় বাসে ৯টি এবং মিনিবাসে ছয়টি আসন নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে।

সড়ক পরিবহন আইনেও গণপরিবহনে নারী, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা হয়েছে। ওই আইনে সংরক্ষিত এসব আসনে অন্য কেউ বসলে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। শুধু সংরক্ষিত আসন নয়, আইনে চালকের পেছনে অর্থাৎ বাসের সামনে দিকের সারিতে সংরক্ষিত আসন রাখতে হবে। চালকের পাশের লম্বা আসন (ইঞ্জিন কাভারের পাশে) কিংবা দরজার পাশে রাখা যাবে না। আসনের ওপরে সংরক্ষিত আসন লিখে দিতে হবে। কিন্তু নগরীর অনেক গণপরিবহনে এর উল্টোচিত্র দেখা গেছে। বাসে রুট পারমিটের অন্যতম শর্ত সংরক্ষিত আসন রাখাও বাধ্যতামূলক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর কিছু গণপরিবহনে ‘নারী, প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য সংরক্ষিত আসন’ বাক্যটি লেখা থাকলেও কোনও গণপরিবহন মালিকই এই আইন মানছে না। ফাঁকা থাকলেই সেসব আসনে বসে পড়েন পুরুষরা। সংরক্ষিত আসনে বসতে অনেক সময় পুরুষদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে হয় নারীদের। এই আইন না মানার অপরাধে এখনও কারও শাস্তিও হয়নি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে রামপুরা ব্রিজে দেখা গেছে, রববর পরিবহনের একটি বাসের সামনের সারির ডানপাশে বড় করে লেখা- নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ৯টি আসন সংরক্ষিত। কিন্তু দেখা গেছে সংরক্ষিত আসনগুলোতে কয়েকজন পুরুষ যাত্রী বসে আছেন। আর তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন এক নারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাসের সহকারী রশিদ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মহিলাদের আসনে পুরুষ যাত্রীদের না বসতে আমরা যাত্রীদের নিষেধ করি। কিন্তু অনেক যাত্রী তা মানে না। তখন ঝগড়া লাগে। আমাদের করার কিছু থাকে ন

দাঁড়িয়ে থাকা ওই নারীর নাম মিতু। তিনি বলেন, ‘বনশ্রীর সি ব্লক থেকে বাসে উঠেছি। কিন্তু দেখি নারীদের আসনে দুজন পুরুষ বসে আছে। আসন ছেড়ে দিতে বললে তারা বলে এটা সিটিং সার্ভিস। আসন নেই। উল্টো আমাকে প্রশ্ন করে- এই বাসে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সিস্টেম নেই, নেমে যান। তখন বাধ্য হয়েই দাঁড়িয়ে এসেছি।’
 কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে: ডা. রিজভী


সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। তার রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে এবং ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের।

তিনি জানান, ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক দলের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টান কুমার সামিকে উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ও নিওরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. আবু নাসার রিজভী এ তথ্য জানিয়েছেন।
মো. আবু নাছের বলেন, ‘ডা. রিজভী আমাদের জানিয়েছেন জনাব কাদের আগের দিনের তুলনায় আজ (শুক্রবার) আরও ভালো আছেন এবং দিন দিন তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। কোনও ধরনের কৃত্রিম সাপোর্ট ছাড়া জনাব কাদেরের হৃদযন্ত্র কাজ করছে।’

এ সময় ওবায়দুল কাদেরের পূর্ণ সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন ডা. রিজভী।
এর আগে, ডা. সামি সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকালে চিকিৎসার অগ্রগতির বিষয়ে ব্রিফ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান ও চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. আবু নাসার রিজভী।
 বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা বাঙালি জাতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতিকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা ছিল ৭ মার্চের ভাষণে। তার নির্দেশনা বাঙালি জাতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে।’
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ: রাজনীতির কবির অমর কবিতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ট্রাস্টের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে অনেকে অনেক রকম ব্যাখ্যা দেন। তখনকার ছাত্রনেতা এখন যারা জীবিত আছেন, আমি আজকেও একজনের ইন্টারভিউ দেখছিলাম। সেখানে কেউ নানাভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে দিচ্ছেন। আসলে এই ব্যাখ্যাগুলো শুনলে হাসি পায় যে এরা আসলে কতটা অর্বাচীনের মতো কথা বলে। ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) নাকি নিউক্লিয়াসের সঙ্গে আলোচনা করলেন’ ভাষণে এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম – এখানে মুক্তির সংগ্রাম আগে বলবে না স্বাধীনতার সংগ্রাম আগে বলবে সেটাও নাকি ‘নিউক্লিয়াস’ আলোচনা করেছে। এগুলো সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা। এর কোনও যৌক্তিকতা নেই। ’’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘‘এই যে একেকজন একেকটা ব্যাখ্যা দেন, আসলে তো তা নয়। হ্যাঁ, ভাষণে যাওয়ার আগে অনেকেই দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন, অনেকে অনেক পয়েন্ট তৈরি করেছেন, অনেকে বলেছেন এটা বলতে হবে, ওটা বলতে হবে, এভাবে বলতে হবে, সেভাবে বলতে হবে, এটা না বললে হতাশ হয়ে ফিরে যাবে। নানা ধরনের কথার মধ্যে আমরা জর্জরিত ছিলাম। কাগজে কাগজে অনেক কাগজ আমাদের বাসায় জমা হয়েছিল। শেষ কথা বলেছিলেন আমার মা। যে কথাটি আমি সবসময় বলি। আমার মা একটা কথাই বলেছিলেন–‘সারাটা জীবন তুমি সংগ্রাম করেছো, তুমি জানো বাংলাদেশের মানুষ কি চায় এবং তার জন্য কি করতে হবে। তোমার থেকে ভালো আর কেউ জানে না। কাজেই তোমার মনে যে কথাটা আসবে, তুমি শুধু সেই কথাই বলবে আর কোনও কথা না।’’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ভাষণে দেখবেন, এখানে কোনও পয়েন্ট নাই, কোনও কাগজ নেই। কারণ, তিনি তো সংগ্রাম করে গেছেন সেই ১৯৪৮ সাল থেকে। তখন থেকেই তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি জানেন মুক্তির পথটি কোথায়, কীভাবে আসবে। তিনি যেসব ব্যবস্থা করে গেছেন, সেটাও তিনি জানেন। সেভাবেই তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যা বাঙালি জাতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে।’
 ‘কী চেক করলেন, আমার কাছে তো পিস্তল আছে’


খেলনা পিস্তল দিয়ে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল ধরতে না পারা— এই দুটো ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রথম চেকিং পার হওয়ার পর নিজের সঙ্গে অস্ত্র থাকার কথা সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তাকর্মীকে জানান যাত্রী মামুন আলী। বিমানবন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ১৩১ ফ্লাইটে সিলেটে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে আসেন মোহাম্মদ মামুন আলী। তার সঙ্গে পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি থাকলেও বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় কোনও ঘোষণা না দিয়েই ভেতরে প্রবেশ করেন। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের প্রথম গেটের আর্চওয়েতে তার শরীর তল্লাশি করেন আনসার সদস্য রিপন। আর্চওয়ে পার হওয়ার পরেও মামুনের সঙ্গে থাকা অস্ত্র শনাক্ত করতে পারেননি সেখানের নিরাপত্তা কর্মীরা। তখন মামুন নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে জানতে চান, ‘আপনাদের চেকিং কি শেষ হয়েছে? ওই আনসার সদস্য জবাবে হ্যাঁ বললে যাত্রী মামুন বলেন, ‘আপনি কী চেক করলেন, আমার কাছে তো পিস্তল আছে।’ এরপর তিনি পিস্তল বের করে দেখান এবং লাইসেন্সও দেখান। কিছু সময় পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন শাহজালালের এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকি। সেসময় এভসেক থেকে ইউএস-বাংলাকে বলা হয়— ওই যাত্রীকে অফলোড করার জন্য। তবে এভসেক থেকে লিখিত কোনও ডকুমেন্ট না দেওয়ার মামুন আলীকে অফলোড করেনি ইউএস বাংলা। পরবর্তীতে যাত্রী মামুন পিস্তল ও গুলি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে নিয়ম মেনে সঙ্গে করে সিলেটে নিয়ে যান।

সূত্র মতে, মামুন আলী নিজেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন।তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ভাইস চেয়ারম্যানের কোনও পদ নেই বলে জানান সংস্থাটির সচিব হিরন্ময় বাড়ৈ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ নেই। তাছাড়া, মামুন আলী নামে এখানে কেউ নেই। এটা হয়তো বেসরকারি কোনও সংস্থার হতে পারে।’

তবে যাত্রীর মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যাত্রী অস্ত্র থাকার বিষয়টি আগে ঘোষণা দেননি। তবে নিরাপত্তা কর্মীরা অস্ত্র শনাক্ত করার পর তাকে যথাযথ নিয়মে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিভিন্ন সময়ে অনেকেই অস্ত্র সঙ্গে থাকলেও ঘোষণা দেন না, পরবর্তীতে স্ক্যানিংয়ে তা ধরা পড়ে।’
প্রত্যেক জুমায় জান্নাতে বাজার বসে!


জান্নাতের অবস্থা কেমন হবে, জান্নাতের নেয়ামতরাজির বৈশিষ্ট্য কী এটা সকল মু‘মিন মুসলমানের জানা উচিত। যাতে করে এসব জেনে সেগুলো পাওয়ার জন্য বেশী বেশী আমল করতে পারে।

মানুষের অন্তরে যত কল্পনা হয়, চিন্তার যতটুকু শক্তি ও উদারতা রয়েছে, অন্তরের যত ব্যাপ্তি রয়েছে এগুলোর থেকে হাজারও কোটি বেশী বড় আল্লাহর নেয়ামত। কুরআন ও হাদীসে শুধু সামগ্রিক চিত্র বর্ণনা করা হয়েছে।পৃথিবীর বাজারের মত জান্নাতের বাজার নয়। পৃথিবীর বাজারগুলোর চেয়ে জান্নাতের বাজারের নিয়ম-নীতি ভিন্ন। সেখানের কোন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড থাকবে না। সেখানে ক্রয়-বিক্রয় থাকবে না।

আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, প্রত্যেক জুমায় জান্নাতি লোকেরা জান্নাতের বাজাররে একত্রিত হবেন। তারপর উত্তরদিকের মৃদুবায়ু প্রবাহিত হয়ে সেখানকার ধূলা-বালি তাদের মুখমণ্ডল ও পোশাক-পরিচ্ছদে গিয়ে লাগবে। এতে তাদের সৌন্দর্য এবং শরীরের রং আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
তারপর তারা ফিরে আসবে নিজেদের পরিবারের কাছে। এসে দেখবে, পরিবারের লোকদের শরীরের রং এবং সৌন্দর্যও বহুগুণ বেড়ে গেছে। পরিবারের লোকেরা তাদের বলবে, আল্লাহর শপথ!

আমাদের কাছ থেকে যাবার পর তোমাদের সৌন্দর্য বেড়ে গেছে। উত্তরে তারাও বলবে, আল্লাহর শপথ! তোমাদের শরীরের সৌন্দর্যও তোমাদের নিকট থেকে আমরা যাবার পর বহুগুণে বেড়ে গেছে। (মুসলিম, হাদিস নং: ২৮৩৩, ১৮৮৯)

আলী (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, জান্নাতে একটি বাজার রয়েছে। সেখানে যখনই কোনো ব্যক্তির যে ধরনের মুখাবয়ব (ও প্রতিকৃতি) ধারণ করতে চাইবে, সঙ্গে সঙ্গে সে সেই আকৃতি ধারণ করতে পারবে। (মিশকাত, হাদিস নং: ৫৬৪৬, ১৯৮২; তিরমিজি, হাদিস নং: ২৫৫০)

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি একদিন আবু হুরায়রা (রা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, আল্লাহুর কাছে দোয়া করি যেন তিনি আমাকে এবং তোমাকে জান্নাতের বাজারে একত্রিত করেন।


সাঈদ ইবুনল মুসাইয়াব তখন বললেন, জান্নাতে কি বাজারও থাকবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ, রাসুল (সা.) আমাকে জানিয়েছেন যে, জান্নাতিরা জান্নাতে প্রবেশ করার পর নিজ নিজ আমলের আধিক্য অনুসারে যথাযোগ্য বাসস্থান গ্রহণ করবে। পরে দুনিয়ার দিন হিসাবে প্রতি জুমাবার তারা তাদের মালিকের (আল্লাহ তাআলা) সাক্ষাতে আসবে। তাদের জন্য তার আরশ প্রকাশ করা হবে।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কি আমাদের প্রতিপালকের দর্শন পাব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সূর্য বা পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে কি তোমাদের কোনো অসুবিধা হয়? আমরা বললাম, না।
তিনি বললেন, তেমনিভাবে তোমাদের প্রতিপালকের সাক্ষাতেও কোনো অসুবিধা থাকবে না। ওই মজলিসে এমন কোনো ব্যক্তি অবশিষ্ট থাকবে না, যার সঙ্গে আল্লাহ তা’আলার কথোপকথন না হবে।


সেখান থেকে জান্নাতিরা জান্নাতের বাজারে আসবে। ফেরেশতারা তা ঘিরে রাখবেন। তাতে এমন সব জিনিস থাকবে, যা কোনো চোখ কখনও দেখেনি, কোনো কান কোনো দিন শোনেনি, কোনো হৃদয়ে তা কল্পনাও হয়নি। সেখানে কিছুর কেনাবেচা হবে না। এই বাজারেই জান্নাতিদের পরস্পর সাক্ষাৎ হবে।

জান্নাতিরা নিজ নিজ আবাসে ফিরে আসার পর স্ত্রীরা এসে অভ্যর্থনা জানাবে। বলবে, স্বাগতম ও শুভেচ্ছা। আমাদের নিকট থেকে যখন গিয়েছিলেন, তখনকার তুলনায় এখন আপনারা আরো বেশি সুন্দর হয়ে ফিরে এসেছেন। তখন জান্নাতি পুরুষরা বলবে, আমরা তো আজ মহাপরাক্রমশালী আমাদের প্রভুর মজলিসে বসে এসেছি। (হাদিসটির অনুবাদ সংক্ষেপে এবং বর্ণনাভঙ্গি বদল করা হয়েছে।) (তিরমিজি, হাদিস নং: ২৫৪৯; ইবনু মাজাহ, হাদিস নং: ৪৩৩৬)
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিল রোহিঙ্গা


প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার কারণে যাকে মাদার অব হিউম্যানিটি বলছেন সারাবিশ্বের মানুষ, সেই মানবতার মূর্ত প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে এক রোহিঙ্গা।এ সময় দেখা যায়, ওই যুবক দামি জামা কাপড় এবং অলঙ্কারে শোভিত অবস্থায় একটি গাড়িতে বসে প্রধানমন্ত্রীকে আরাকানি ভাষায় ‘পরিণতি খারাপ হবে’ বলে হুমকি দিয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশের যত উঁচু দালানকোঠা স্থাপনা আছে, সবই ধ্বংস করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেবে বলে জানায় এই যুবক।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। যার ফলে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে দ্রুত চলে যেতে হতে পারে। এটাই মূলত তাদের মাথাব্যাথার কারণ, যা ওই যুবকের বক্তব্যে স্পষ্ট।এ সময় ভিডিও বার্তায় যুবক বলছে, তাদেরকে (রোহিঙ্গাদেরকে) যেন মজবুর (বাধ্য) করা না হয়। তারা মিয়ানমারের বৌদ্ধ অধিবাসীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হচ্ছে এখানে থেকে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় রোহিঙ্গারা। তার কথায় আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) এব আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন) নামক জঙ্গি সংগঠনগুলোর বক্তব্য এবং অভিপ্রায় প্রতিফলিত হচ্ছে।

এদিকে সংগঠনগুলোর সাথে আন্তর্র্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এবং আল-কায়দার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পুরনো। তারা আরাকান অঞ্চলকে ভিন্ন ধর্মরাষ্ট্র হিসেবে গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। যদিও এই সংগ্রামকে তারা হকের লড়াই (অধিকার আদায়ের যুদ্ধ) হিসেবে অভিহিত করে।এদিকে হুমকিদাতা যুবক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনও। সে এদেশের মুসলমান সম্প্রদায়কে তাদের প্রতি সহনশীল হওয়ারও আহ্বান জানিয়ে তার ভিডিওতে জানায়, মুসলমান হয়ে যেন তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয়, তাতে পরিণতি ভালো হবে না।প্রসঙ্গত রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার বিনিময়ে জনপ্রতি ৬ হাজার ডলার (প্রায় ৫ লাখ টাকা) করে দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন চীন সরকারের এশিয়া বিষয়ক দূত সুন গুঝিয়াং। কিন্তু তাদের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে রোহিঙ্গারা।

এদিকে রাখাইনে ফিরে রোহিঙ্গারা যেন বাড়ি-ঘর তৈরি করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন সে কারণেই চীনের তরফ থেকে তাদের অর্থ সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর উত্তরে এআরএসপিএইচ মহাসচিব সায়েদ উল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা কোন ভাবেই ওখানে ফিরে যাব না বলে জানিয়েছি।’
যেমন হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড!


চারটি বছর পর” আবারো মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর: আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ! আর মাত্র ৯১দিন পরই ইংল্যান্ড ওয়েলসে বসবে” ওয়ার্ল্ড কাপ আসর। যেখানে অংশ নিবে, ১০ দেশের ১০ দল: মাসখানেকের মধ্যেই ঘোষণা হবে” বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড।
চলুন দেখি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে“ কেমন হতে পারে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কোয়াড!

বিশ্বকাপ সামনে রেখে! অনেক টাইগার ক্রিকেটারই, প্রস্তুত হচ্ছেন ইংল্যান্ডের বিমান ধরার জন্য….? কার থেকে কে ভালো পারফর্ম করতে পারে”” সেই নিয়ে লড়াই হচ্ছে জুনিয়রদের মধ্যে।যতটুকু শোনা যাচ্ছে” নিউজিল্যান্ডের সাথে খেলা ওয়ানডে দলটাই: ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিবে। শুধু ইনজুরি কাটিয়ে সাকিব ফিরলে” কপাল পুড়তে পারে একজনের…?
ওপেনিংয়ে তামিমের সাথে থাকছেন! নিউজিল্যান্ডের সাথে টেস্টে দুরন্ত শতক মারা” সৌম্য সরকার। ইংল্যান্ডে মতো কন্ডিশনে” বড় রান করার সামর্থ্য আছে সৌম্যর”” তামিমের সাথে বড় জুটিও বাধতে পারেন তিনি।
তিনে থাকছেন ইনজুরি কাটিয়ে বিশ্বকাপ দলে ফিরা সাকিব…? ফিরলেই তিন নম্বর পজিশনে” ব্যাট করার দায়িত্ব নিবেন! উইন্ডিজ সফর থেকেই: তিনে ব্যাটিং করছেন সাকিব„ সফলও হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

মিডল অর্ডারে আছেন” মুশফিক মিথুন! দু’জনেই দলের কঠিন বিপদের সময়” ব্যাট হাতে দলের দায়িত্ব সামলান…? দু’জনেই আছেন দারুণ ফর্মে! তাই মুশফিকের সাথে মিডল অর্ডার সামলাবেন মিথুন!ফিনিশিং দেয়ার দায়িত্বটা পড়েছে। সাব্বির মাহমুদুল্লাহর উপর” এই দুইজন শেষে ঝড় তুলে! দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিবেন“ রিয়াদ দলের হয়ে সবসময়ই পারফর্মার… দলের বিপদ দেখলে জ্বলে উঠেন, আর সাব্বির ৪মাস পর দলে ফিরেই„ নিউজিল্যান্ডের সাথে ওয়ানডেতে! ঝড় সেঞ্চুরি মেরেছেন” সেই সাথে ইংল্যান্ডে যাওয়ার টিকিটাও। সেঞ্চুরি মেরেই কেটে ফেলেছেন সাব্বির…?


পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন যাচ্ছেন” দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে! এটা প্রায়ই নিশ্চিত: একটি পেস বোলিং অলরাউন্ডারই, ম্যাচের মোর ঘুরিয়ে দিতেন পারেন। সেটা ব্যাট দিয়ে বা বল দিয়েই হোক””মাশরাফি বিন মুর্তজা! বল হাতেই বেশি পারদর্শী: মাঝেমধ্যে ব্যাটিংয়েও দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান। এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ” হয়তো ইংল্যান্ড থেকেই বিদায়ের সুর ভেসে আসবে“ আসছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই খেলবে বাংলাদেশ দল।

পেস এট্যাকে থাকছেন! কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ” আর গতির বল দিতে থাকছেন রুবেল: ফিজ পেস আক্রমণে সাম্প্রতিক সময়ে” বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো বোলার। তার দিকে চেয়ে পুরো দেশ…? রুবেলও কম যান না। গতি দিয়ে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পারেন” এই গতির তারকা: বিশ্বকাপের সেরা একাদশে থাকছেন এই দুইজন।তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন আলী, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, মেহেদী মিরাজ, ইমরুল কায়েস, তাসকিন আহমেদ, আফিফ হোসেন,

বয়ফ্রেন্ড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ঘণ্টায় ৪০০ টাকা


চাইলে এখন প্রেম করাকে আপনি চাকরি হিসেবেও নিতে পারেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বেকার ছেলেদের বয়ফ্রেন্ডের চাকরি দিচ্ছে একটি সংস্থা।জানা যায়, একাকী মেয়েদের একাকিত্ব কাটাতে বয়ফ্রেন্ড জোগাড় করে দিচ্ছে সংস্থাটি। যে নারী বয়ফ্রেন্ড ভাড়া করবে তার নাম এবং সমস্ত তথ্য গোপন রাখা হবে। তবে বয়ফ্রেন্ড বুক করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে। কোনো নারী যদি বয়ফ্রেন্ড ভাড়া করতে চান তাহলে তাকে অনলাইনের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ‘রেন্ট এ বয়ফ্রেন্ড’ নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে এটি করা যাবে।

এই চাকরির পারিশ্রমিক ঘণ্টায় ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। ছেলের যোগ্যতা অনুপাতে নির্ধারণ হবে টাকার অঙ্ক। সে কত শিক্ষিত, দেখতে কেমন এসব বিষয় তার যোগ্যতা হিসেবে পরিগণিত হবে। যে ছেলের গুণ যত বেশি হবে টাকার অঙ্কও তত বাড়বে।তবে ভাড়ার সমস্ত টাকা ‘বয়ফ্রেন্ড’ হিসেবে কাজ করা ছেলেটি নিতে পারবে না। তার কিছু অংশ দিতে হবে ওই সংস্থাকে।
আবার যে নারী বয়ফ্রেন্ড ভাড়া নেবে তার জন্যেও রয়েছে কিছু শর্ত। যেমন- ভাড়া করা বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কোনো পার্টিতে যাওয়া যাবে না। তার সঙ্গে কোনো শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে না ইত্যাদি।আপাতত ভারতের মুম্বাই ও পুনে শহরে এই পরিষেবা চালু হয়েছে।